নিজস্ব প্রতিবেদক:
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে পূর্বে প্রতিবাদ করায় উপজেলার দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এটিএম কামাল হোসেনকে পাশ^বর্তি দল্টা সরকারি বিদ্যালয় মাঠে সংর্বধনা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তছলিম হোসেন জানিয়েছেন ভীন্ন কথা।
ডাঃ এ. এস.এম নুর নবী মানিকের সভাপতিত্বে ও মোঃ ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আবু সুফিয়ান মিঝি, আসাদুজ্জামান পাল, মাসুদ রানা, মোঃ ইলিয়াছ, মীর হোসেন মীরু, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ, অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিন পাল, ইউপি সদস্য শামসুল হুদা, মনির হোসেন মাষ্টার, টিপু সুলতান, সেলিম পাটোয়ারী, ফেরদৌস আহমেদ শাহেদ, সেলিম মজুমদার, আবু সুফিয়ান ভূইয়া, মহসিন মোল্লা, জাহাঙ্গীর মাষ্টার, শাহ আলম মাষ্টার, হাসান মাহমুদ বাবু প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ১২জুন রবিবার রামগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে হেলাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন পাল, বাকের মাষ্টার, জয়নাল আবেদীন ও শিমু আক্তার নির্বাচিত হন। এছাড়া দাতা সদস্য ১জন, শিক্ষক প্রতিনিধি (পুরুষ) ২জন, শিক্ষক প্রতিনিধি (মহিলা) ১জন।
বক্তাগণ এসময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রধান শিক্ষক নিজেই বিভিন্ন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেন। পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এলাকাবাসী নির্বাচনে বিজয়ীদেরকে নিয়ে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজনের জন্য প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি সম্মতি প্রদান করেন।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক আগের দিন অনুমতি দিলেও পরদিন তা বাতিল করে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাখায় পাশ^বর্তী দল্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বাধ্য হন। এসময় বক্তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে তার অপসারন দাবী করেন।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তছলিম হোসেন জানান, আমি কারো পক্ষে ভোট চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যিনি নির্বাচিত হবেন এতে আমার কোন স্বার্থের বিষয় জড়িত নয়। আর সংবর্ধনা বিষয়টি নিয়ে আমি কোন অনুমতি দিতে পারিনি, সদ্য নির্বাচিত কমিটির লোকজনকে জানিয়েছি বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ রয়েছে আরো ১মাস। উনাদের সাথে কথা বলে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এসময় তিনি আরো জানান, শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্য মোট ৯জন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসেছে মাত্র ৩জন সদস্য।