ইকবাল হোসেন:
নির্বাচনে বিজয়ী হই বা না হই আপনাদের এই জরাজীর্ণ রাস্তার কাজ আমি করে দেব। সাধারণ মানুষকে দেয়া এই পরিচিত আশ্বাস শুধু মুখের বাণীই মনে করতেন সাধারণ মানুষ।
তবে কথা রাখলেন রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাত।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পৌর ২নং ওয়ার্ড বাঁশঘর বাসীর দীর্ঘ সময়ের প্রতীক্ষিত সোনাপুর হরিসভা ব্রীজ থেকে বাঁশঘর ইসমাইলের ব্রীজ হয়ে রাঘবপুর খামার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কারের কাজ শুরু করলেন রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাত।
দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর এই জীর্ণ শীর্ণ রাস্তাটি কয়েক হাজার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। বিভিন্ন স্থানে ইট-সুরকি সরে গিয়ে রাস্তাটি সম্পূর্নরূপে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে যাওয়ায় সড়কটিতে প্রায়ই ঘটতো দুর্ঘটনা।
গত ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পৌর ২নং ওয়ার্ড বাঁশঘর এলাকার এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দেখে প্রতিশ্রুতি দেন দ্রুত সংস্কারের।
তবে তা এতো দ্রুত হবে এটা ভাবেনি এই এলাকার বাসিন্দারা। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহনের পরদিনই পৌর ২নং ওয়ার্ডের বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তাটি সংস্কার হতে দেখে এলাকার মানুষের চোখে মুখে দেখা দেয় স্বস্তির হাসি।
ধন্যবাদ জানান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে।
স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি লাঘবে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাত তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাত বলেন, আমি নির্বাচনকালীন সময় কথা দিয়েছিলাম, চেয়ারম্যান হই বা না হই জনগনের বহুদিনের ভোগান্তি লাঘবে এই রাস্তাটি আমি আমার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে হলেও ঠিক করে দিব। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে-ওয়ার্ডে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।