নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তিন হাজার এক’শ কোটি টাকা বরাদ্দের নদী বাঁধ বাস্তবায়ন ও ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার চর ফলকনের লুধুয়া ও মাতাব্বরহাট মধ্যবর্তী বেড়িবাঁধে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নদীবাঁধ নিয়ে আন্দোলনরত সংগঠন কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নদীবাঁধে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের দুর্নীতির ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। খাল কেটে বাঁধ নির্মাণের ফলে আরো বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি খালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকদের ফসলি জমি যেমন ভেঙে গেছে, তেমনি বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট ভেঙে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেন ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও সংগঠনের সদস্যরা।
মঞ্চের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, মঞ্চের সংগঠক আফজাল হোসেন অনিক ও ওমর ফারুক প্রমূখ।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান বক্তব্যে বলেন, যাচ্ছেতাইভাবে কমলনগরে মেঘনাতীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। একজন পুলিশ, বিজিবি বা সেনাবাহিনী নেই বাঁধ দেখাশোনার জন্য। জেলেরা নৌকা নোঙর করে বাঁধের জিওব্যাগগুলো বিনষ্ট করে ফেলছে। অনেকেই সিগারেট খেয়ে অবশিষ্ট অংশ জিওব্যাগের উপরে ফেলার কারনে কোটি কোটি টাকার জিওব্যাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
কোন তদারকি নেই, ঠিকাদাররা ছেলে খেলার মতো কাজগুলো করছে। লোকবল বাড়ানো দরকার এবং এই ঠিকাদারদের উপরেও তদারকি বাড়ানো দরকার। সমন্বয়হীনভাবে কাজ করার কারণে বাঁধের কাজ টেকসই হচ্ছে না। জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের সাথে সাথে বেড়িবাঁধ দেয়া, তার সাথে সাথে ব্লক দেয়ার কাজ হচ্ছে না। এতে বেড়িবাঁধ মজবুত হচ্ছে না।
বক্তব্যে এ সময় তিনি অনতিবিলম্বে ৩১কিলোমিটার নদীবাঁধের কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানান। না হলে রামগতি-কমলনগর যেভাবে মানচিত্র থেকে অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে, বাকিটুকুও বিলীন হয়ে ৭লাখ মানুষ রাস্তার ভিখারি হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।