চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, গত রোববার ছেংতুতে, কাজাখস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুরাত নুরতলিউ, তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহরিদ্দীন, ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বখতিয়র সাইদভের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা দেন। দু’পক্ষের উচিত সার্বিকভাবে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য কার্যকর করে, চীন-কাজাখ অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজ অব্যাহত রাখা এবং নিজ নিজ আধুনিকায়নের কাজ জোরদার করা।
জবাবে কাজাখ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ চীনের সাথে নিজের উন্নয়ন-কৌশল সংযুক্ত করে, দু’দেশের রাষ্ট্র-প্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য কার্যকর করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন ‘সোনালী ৩০ বছর’ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
তাজিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট সি তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমনের সঙ্গে বৈঠকে, চীন-তাজিখ সম্পর্ককে নতুন যুগে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
জবাবে মুহরিদ্দীন বলেন, চলতি বছর তাজিখ-চীন সম্পর্কের জন্য একটি সমৃদ্ধ বছর। তার দেশ চীনের সাথে সার্বিক সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক এবং আরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে সেদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে।
উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, উজবেকিস্তান চীনের প্রথম নতুন যুগে সার্বক্ষণিক কৌশলগত অংশীদার। দু’দেশের রাষ্ট্র-প্রধানদের মতৈক্য অনুসারে, চীন-উজবেক সার্বিক সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ করতে হবে।জবাবে উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ‘এক-চীননীতি’-তে অবিচল থাকবে।
সূত্র:প্রেমা-আলিম-ছাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।