বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo চীন ও ভিয়েতনাম শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে : সি চিন পিং Logo ক্যান্টন মেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম Logo মার্কিন শুল্কসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের দৃঢ়তা Logo চীনের সাথে ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে : ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী Logo চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন স্বার্থে যৌথ কমিউনিস্ট গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে Logo যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমতুল্য শুল্ক’ বাতিল করার তাগিদ : চীনা মুখপাত্র Logo চীন আধিপত্য ও একচেটিয়া আচরণের বিরোধিতা করে Logo চীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে সমর্থন করবে Logo মার্কিনিরা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ও ‘আমেরিকা স্পেশাল’ নীতি অনুসরণ করেন : সিএমজি সম্পাদকীয় Logo বোয়াও এশিয়া ফোরাম বিভিন্ন দেশের জন্য পারস্পরিক শিক্ষার একটি মঞ্চ : লাওসের প্রধানমন্ত্রী
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘bdpressnews.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘bdpressnews.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘bdpressnews.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ

ঘন ঘন চীন সফর মার্কিন নীতির অস্বাভাবিকতার প্রতিফলন

আন্তর্জাতিক: / ১৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক মহলের অনেক ব্যক্তি বেইজিংয়ে সফর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিরুদ্ধে একটি বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু করে এবং আগামী মাসের শুরুতে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ বাস্তবায়নের হুমকি দিচ্ছে। এ সব বিবেচনায়, তাদের ঘন ঘন চীন সফর মার্কিন নীতির অস্বাভাবিকতাকেই প্রতিফলিত করে।

নতুন মার্কিন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর চীন সফরকারী প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে, রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভ ডেইন্স চীন সফর অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেইন্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ১৯৯০-এর দশকে চীনে একটি মার্কিন কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং ‘চীনে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ’ হিসেবে পরিচিত। তিনিও ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরামর্শে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র আবার চীনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এই সময় ডেইন্সের চীন সফরকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ বজার রাখার সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

২৩ মার্চ, ডেইন্স ও তার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে চীনা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্পষ্ট বার্তা দেন: চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যত বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে, ততই চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বজায় রাখতে ও উন্নয়ন করতে হবে, অব্যাহতভাবে দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্থিতিশীলতা আনতে হবে; শুল্ক আরোপের মাধ্যমে কোনও দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব নয়, বাণিজ্যিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতার সমস্যা সমাধান করতে হবে। চীনের এমন বক্তব্য কেবল যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্য যুদ্ধ না বাড়ানোর জন্য সতর্ক করে না, বরং চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কল্যাণমূলক ও জয়-জয় প্রকৃতির পুনরাবৃত্তি করে এবং দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমস্যার একটি মৌলিক সমাধান প্রদান করে।
ডেইন্সের প্রায় একই সময়ে, এলি লিলি, কোয়ালকম, অ্যাপল, ব্ল্যাকস্টোন ইত্যাদি সুপরিচিত মার্কিন কোম্পানির প্রধানরাও বেইজিংয়ে এসেছিলেন। তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হল চীন উন্নয়ন ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করা। চলতি বছরের সম্মেলনে বিদেশী কোম্পানির সংখ্যা বেশি, যার মধ্যে ২৭টি মার্কিন কোম্পানি রয়েছে, যা মোট সংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। কিছু ভাষ্যকার বলেছেন, এমন একটি সময় যখন মার্কিন সরকার বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য-যুদ্ধ তীব্র করে তুলছে, তখন অনেক বড় মার্কিন কোম্পানি বাধা অতিক্রম করে চীন সফর করেছে, যা দেখায় যে তারা উন্মুক্ত বিশ্ব বাণিজ্যের ধারণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং আশা করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে পারে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সম্প্রতি চীনা সরকার উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রকাশ করেছে, যা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিশ্বাস করিয়েছে যে, চীনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক মৌলিক পরিস্থিতি কোনও পরিবর্তন হয়নি এবং চীনে বিনিয়োগ ও চীনা বাজারকে আরও গভীর করায় বিশাল লাভ হবে।

টেপেস্ট্রি গ্রুপের সিইও জোয়ান ক্রেভয়েসেরাত এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ভোগ বাড়ানোর জন্য চীনা সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এতে তারা অত্যন্ত উত্সাহিত এবং এই বছরে ‘৩ বছরের মধ্যে ১০০টি নতুন দোকান খোলার’ লক্ষ্য অর্জনের জন্য উন্মুখ। এলি লিলি’র চেয়ারম্যান ডেভ রিক্স বলেন, চীন হল এলি লিলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাজারগুলোর মধ্যে একটি, তার কোম্পানি চীনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উত্পাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্রডকমের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হোক থান বলেন, তিনি মুক্তি বাণিজ্য দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবেন এবং চীনের উচ্চমানের উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন। এসব কথাগুলো মার্কিন কোম্পানির অভিন্ন কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করে।

মার্কিন কোম্পানিগুলো চীন সফর করার সাথে সাথে হোয়াইট হাউসের ভুল অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাও বাড়ছে। কারণ খুব সহজ, শুল্ক-যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমস্যার মৌলিক সমাধান করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষ শুল্ক-যুদ্ধকে যেভাবেই সমর্থন করুক না কেন, যুক্তিবাদীরা জানেন যে, শুল্ক দিয়ে ‘দেয়াল তৈরি’ বিশ্বের মুক্ত-বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, বৈশ্বিক উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা ব্যাহত করবে এবং মার্কিন কোম্পানির স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চীন আশা করে সিনেটর ডেইন্স চীনে যা দেখেছেন ও শুনেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনবেন এবং ‘সহযোগিতা উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক, যুদ্ধ উভয়পক্ষের জন্য ক্ষতিকর’ এই অর্থ প্রকাশ করবেন।

সূত্র : তুহিনা-হাশিম-স্বর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST