বিডি প্রেস অনলাইন:
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি এটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
শনিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দুই-তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জন্যতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, রোববার সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনাম বলেন, এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়ার। আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় চার নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১২ লাখ, সেহেতু তাদের সরিয়ে নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। সেখানে যেহেতু পাহাড় তাই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই। কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এই আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
সূত্র : ইউএনবি