মামুন চৌধুরী:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে এক যুবক (২১)কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার ভোরে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২১) নোয়াখলা গ্রামের একই বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ফজরের নামাজের পরে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়া বাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়।
একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই আহাদ আহম্মেদ মারা যায়।
নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো.মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোরের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক গনপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামে এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। গণপিটুনিতে সে মারা যায় বলে জানতে পেরেছি।
মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।