২৬ এপ্রিল বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন একটি বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে, তবে কিছু নেতিবাচক উপাদানও দেখা যাচ্ছে। দু’দেশের সম্পর্কের বিষয়ে চীনের অবস্থান কখনোই পরিবর্তন হয় নি। যা সবসময় মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে দু’দেশের সম্পর্ক বিবেচনা ও উন্নত করছে, এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত ‘পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সহযোগিতা ও উভয়ের জয়ের নীতিতে অবিচল থাকছে; সবসময় পারস্পরিক মৌলিক স্বার্থকে সম্মান করার চেতনা লালন করছে।
তিনি জানান, গত নভেম্বরে দু’দেশের নেতৃবৃন্দ সান ফ্রান্সিসকোয় গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য ও দিকনির্দেশনা দিয়েছে। দু’পক্ষের উচিত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। বর্তমানে জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন-মার্কিন সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে যাবে- তা নির্ধারণ করা উচিত। এটা দু’দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করলে, দু’দেশের সমস্যা হতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান বিষয়টি দু’দেশের সম্পর্কের প্রথম অনতিক্রম্য সীমা; চীনা জনগণের উন্নয়নের অধিকার কেউ নষ্ট করতে পারবে না এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল বড় দেশের লড়াইয়ের মাঠ হওয়া উচিত নয়।
দু’পক্ষ ইউক্রেন সমস্যা, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের বিষয়ে মতবিনিময় করেছে। দু’পক্ষ একমত হয়েছে যে, অব্যাহতভাবে দু’দেশের নেতৃবৃন্দের দিক-নির্দেশনায় দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত ও স্থিতিশীল করবে।
সূত্র: আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।