শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা Logo কোটা সংস্কার আন্দোলন: দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত ৫ Logo বিদ্যালয়ে না এসে বেতনভাতা উত্তোলন; বদলি হলেন বিতর্কিত সে-ই প্রধান শিক্ষক Logo নতুন যুগে চীনের সংস্কারনীতি: মূল উদ্দেশ্য চর্চা করে উদ্ভাবনী উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা Logo চীন সামুদ্রিক পরিবেশের মান অব্যাহতভাবে উন্নত করেছে:শ্বেতপত্র প্রকাশ Logo চীনের উন্নয়ন বিশ্বের জন্য সুযোগ প্রদান অব্যাহত রাখবে:সিএমজি’র সিজিটিএন পরিচালিত জরিপ Logo সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরনের জন্মদিন পালন হলো হাডসন নদীর বুকে Logo চীন বাংলাদেশকে জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করতে ইচ্ছুক:হাসিনার সাথে বৈঠকে সি Logo মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ প্রচার করা:চীনে দশম বিশ্ব সভ্যতা ফোরাম Logo ভারত-চীন সম্পর্কের বৈশ্বিক তাৎপর্যও রয়েছে: বিশেষ বার্তায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘bdpressnews.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘bdpressnews.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘bdpressnews.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ

চীনে ৫৬টি বিশ্ব ঐতিহ্যে চীনের বিস্ময় প্রদর্শিত হচ্ছে

তান হোং রুবি / ১১৩ Time View
Update : সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩, ১০:১০ অপরাহ্ন

ওয়াং তান হোং রুবি:
গত ১০ জুন পালিত হয়েছে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য দিবস। বিশ্ব ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ব প্রকৃতি ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। চীনে রয়েছে ৫৬টি বিশ্ব ঐতিহ্য। এরমধ্যে প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের পরিমাণ ১৪টি। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিমাণ ৪টি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিমাণ ৩৮টি। এসব ঐতিহ্যে চীনের বিস্ময় প্রদর্শিত হচ্ছে।
গত ১০ জুন নিখিল চীনের বিভিন্ন স্তরের পুরাকীর্তি বিভাগ, সাংস্কৃতিক সংস্থা ও জাদুঘর ৭২০০টিরও বেশি অনলাইন ও অফলাইন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। জনসাধারণের জীবনে সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য প্রবেশ করেছে। চলতি বছরের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সুরক্ষা ও ব্যবহার এবং সাংস্কৃতিক আস্থা ও স্ব-উন্নতি’।
জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে বিজ্ঞান- প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক সমর্থনে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শিরোনামে থিম কার্যক্রম চালু করেছে চীন। তারপর ৩৬টি প্রকল্প শুরু হয়েছে। চীনের বিভিন্ন স্থানের সংস্কৃতি ও জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণালয় থেকে ২০০টিরও বেশি গবেষণাদল কাজ করেছে। তারা চীনা সভ্যতার উৎস সংক্রান্ত গবেষণা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ঝুঁকি তত্ত্বাবধান এবং প্রতিরোধক ব্যবস্থা প্রবর্তন, শি খু মন্দির ও কবরের মুরাল সংরক্ষণে নির্ণায়ক প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণাসহ নানা ক্ষেত্রে সাফল্য এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সদা পরিবর্তনশীল ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন মানুষের জীবনের পরিবর্তন ঘটানোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও সকলের দৃষ্টিতে পড়তে সাহায্য করেছে। তুন হুয়া একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, মোকা গুহার ৪৫ হাজার বর্গমিটারের মধ্যে ২৬ হাজার বর্গমিটার এলাকা ডিজিটাল করা হয়েছে।
গত শতাব্দীর ৮০-এর দশকের শেষ দিকে তুন হুয়াং একাডেমি ‘ডিজিটাল তুন হুয়া’ পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে। কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ইমেজ প্রযুক্তির মাধ্যমে গুহার সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের স্থায়ী সংরক্ষণ করা হবে। বর্তমানে মোবাইলে অনলাইনে তুন হুয়া ভ্রমণ করা যায়। মাউস ক্লিক করলে ৩০টিরও বেশি এইচডি গুহা আপনার চোখে পড়বে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ আরও সহজ হয়েছে। তাতে সাংস্কৃতিক চিহ্নসমূহ যেন আবারও জীবিত হয়েছে। দর্শকেরা ঘরে বসে দশ সহস্রাধিক কিলোমিটার দূরের মোকাও গুহার বিস্ময়কর শিল্প উপভোগ করতে পারছেন।
ডিজিটাল তুন হুয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, বিনিময় এবং মেটা-ডেটাসহ নানা ক্ষেত্রে যে মানদণ্ড গ্রহণ করা হয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচারযোগ্য এবং দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে তুন হুয়া গুহার ডিজিটাল প্রযুক্তি চীনের ৭টি প্রদেশের ১৪টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধীরে ধীরে তা ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বরাবর দেশগুলোতে ব্যবহার করা হবে। ফলে তুন হুয়া সংস্কৃতি থিম প্রদর্শনী বিশ্বকে চমকে দেবে।
চীনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তথা ১৪টি বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। উ লিং ইউয়ান থেকে চিউ চাই কৌ, থিয়ান শান থেকে শেন নোং চিয়া, পান্ডার বাসস্থল থেকে খ্যখ্যসিলি পর্যন্ত সে সব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য চীনের ইতিহাস বর্ণনা করে। এসবের নান্দনিক এবং বৈজ্ঞানিক মূল্যও রয়েছে।
সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের কারণে আমাদের জীবন সমৃদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক খাদ্য দেখলে জিভে জল আসে। সিরামিক, ছাতা, পেপার কাটিংসহ ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পগুলো সত্যি আকর্ষণীয়। এসব ঐতিহ্যে চীনের পূর্বপুরুষদের রোম্যান্টিক এবং সূক্ষ্ম জীবন প্রতিফলিত হয়। সূত্র: ওয়াং তান হোং রুবি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST