চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বেইজিংয়ের মহাগণভবনে দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের বেইজিং শীর্ষসম্মেলনে অংশ নিতে চীন সফরে আসেন। দুই নেতা ঘোষণা করেন চীন-দক্ষিণ সুদান সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করবেন।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চীন দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকের দেশগুলোর অন্যতম। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর ধরে দু’পক্ষের রাজনৈতিক আস্থা স্থিতিশীল, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা ফুলপ্রসু। পরস্পরকে সম্মান করা ও আন্তরিক সহযোগিতা করা হল দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি, আর একসঙ্গে সহযোগিতা ও অভিন্ন উন্নয়ন অর্জন হল দু’দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যতের লক্ষ্য। বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ ও প্রাণশক্তিপূর্ণ চীন-দক্ষিণ সুদান সম্পর্ক দু’দেশের জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
চীন, দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ও সুযোগ ভাগাভাগি করতে চায়, শিক্ষা, তেল, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে চায়, এবং আশা করে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন দক্ষিণ সুদানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ বিরোধিতা করে, দক্ষিণ সুদানকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্থিরভাবে এগিয়ে নিতে সমর্থন করে, দক্ষিণ সুদানের জনগণের তাদের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য নিজের হাতে তুলে নিতে সমর্থন করে। চীন আশা করে দক্ষিণ সুদান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন অর্জন করতে পারবে। চীন অব্যাহতভাবে জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় দক্ষিণ সুদানের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশটির পক্ষে কথা বলবে।
বৈঠকে কির চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণ, বিশেষ করে উত্থাপিত ‘দশটি অংশীদারি কার্যক্রমে’র বিষয়ে উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদানও চীনের সঙ্গে গভীর বন্ধুত, পরস্পরকে সম্মান, বোঝা ও সমর্থনের ভিত্তিতে গড়ে তোলে। চীনের সাহায্য ও সমর্থনের জন্য দক্ষিণ সুদানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারে। তিনি আশা করেন দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন হবে। দক্ষিণ সুদান সরকার চীনা কোম্পানিগুলোকে ভালো বাণিজ্যিক পরিবেশ প্রদান করবে।
সূত্র: তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।