ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ১৮ জানুয়ারি এক বক্তৃতায় বলেছেন যে, ভারত-চীন সম্পর্ক উভয় দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত। ২০২০ সালে সীমান্ত সংঘাতের কারণে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতি থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছে ভারত ও চীন। একই সময়ে, চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তির মুখে, ভারতকে অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং তার ব্যাপক জাতীয় শক্তি বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রম ন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়া খুন গত (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুটি প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান অর্থনীতি হিসাবে, চীন ও ভারতের উচিত উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করা। এটি দুই দেশের মানুষের মৌলিক স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আঞ্চলিক দেশ এবং জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, গ্লোবাল সাউথের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ঐতিহাসিক প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আঞ্চলিক এমনকি বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও সহায়ক।
মুখপাত্র আরও বলেন, কাজানে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে তা উভয় পক্ষেরই আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ন করা উচিত। চীন ও ভারতের উচিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি মেনে চলা, সত্যিকার অর্থে বহুপাক্ষিকতার চর্চা করা এবং একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমেরু বিশ্বের পক্ষে দাঁড়ানো। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের পক্ষে এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং প্রচারে আরও বেশি অবদান রাখা উচিত দু’দেশের।
সূত্র: জিনিয়া-হাশিম-শুয়েই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।