টানেলের মুখে আলোর সন্ধান!
ইসরায়েল, ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের বিষয়টা কিন্তু ধর্মের নয়! ধর্মীয় সংঘাত হিসেবেই প্রচার করা হলেও প্রকৃত দ্বন্দ্বের মূল কারণ সেই প্রাচীন উপনিবেশিকতার, দখলদারিত্ব। সেই ভূমিতে আদিকাল হতে ইহুদী খৃস্টান মুসলমানদের সহাবস্থান করেছে । ব্রিটিশদের সহায়তায় বিশ্বযুদ্ধের পর কনভারটেড জিয়নিষট জনগণ দলে দলে এসে সে অঞ্চলের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটায় তারপর ইহুদী রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া দেয়া হয়। সে সময়ের নানা রকম ইতিহাস রয়েছে।
বর্তমানে পৃথিবীতে ২০০ কোটি মুসলমানের বাস। মোট ১৯৫ টি দেশের মধ্যে মুসলিম প্রধান জনসংখ্যার দেশ ৫৬ টি। প্রায় ২৩% অর্থাৎ বিশ্বে মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান।শান্তিপ্রিয় জনগণকে ধর্মের দোহাই দিয়ে উস্কে দেয়া হয়, অসম্মান করা হয়।
Weapons of mass destruction’এর মত নয়তো হামাস কাণ্ড!! যা কখনওই ছিল না ইরাকে, কিন্তু লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে ও জীবন দিয়েছে, ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছেকিন্তু বিচারপতির বিচার কে করবে? কিভাবে এমন জটিল সুড়ঙ্গ ব্যাবস্থা স্থাপন করেছে ইসরাইলী গোয়েন্দাদের অগোচরে? বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ টানেলের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে অতিরিক্ত মাটিগুলো কই গেল? সে সুড়ঙ্গে মাইলের পর মাইল পথ, বিদ্যুৎ পানির সরবরাহ , ভিডিওতে দেখা যায় যে কোন অংশে গাড়ি চলছে। কংক্রিট, রডের স্লাব দিয়ে আধুনিক প্রক্রিয়ায়। যা একমাত্র ইসরাইলীদের পক্ষেই সম্ভব। এই খরচ তারা কার থেকে পেল? তারপর হামাস বাহিনীর আক্রমণটি ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দাদের জন্যে একটি বড় বিস্ময়কর। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বিশ্বের অন্যতম সেরা গোয়েন্দা বিভাগ, তারা হামাসের এত বড় একটা আক্রমনের কিছুই জানতে, বুঝতে পারলো না সেটা অবিশ্বাস্য! ইসরায়েল হামাসের প্রতিটি চলাফেরা তেল আবিবে বসে মোবাইল মনিটরিং আর সার্ভেইলেন্স ইউজ করে থাকে আর ঘরের কাহিনী জানলনা !
যেখানে একটি পাখিও দেশ থেকে বেরুতে বা ঢুকতে বা কিছু কার্যক্রম করতে পারেনা। যেখানে ইসরাইল বাহিনী দখল করে রেখেছে গাজা, প্রতিটি পদক্ষেপ তারা নজরে রাখে, ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। হামাসের হামলা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় রাশিয়ার নাজিদের মিলিটারি অপরেশনের সাদৃশ্য। ইসরায়েল আমেরিকার সহায়তায় অনেক উন্নত, তাদের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।দখলকৃত প্যালেস্টাইন টেরিটরি ও গাজা নির্মম ইসরাইলী মিলিটারি বর্বরতার অধীনে ছিল। তাদের ছিলনা বহির্বিশ্বে স্বাধীনভাবে যাওয়া আসার অনুমতি। গাজায় ইউএন’র ম্যাপকে অবজ্ঞা করে গাজার সবটুকু দখল করে নিয়েছে, সাধারন মানুষদের উপর অমানবিক নির্যানত চালিয়ে আসছে। কোন মিডিয়া কভারেজ ছিলনা, বিবিসি, সি এন এন সহ আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা সব দেশকে মন্ত্র বলে মূক ও বধির করে রেখেছে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই প্রলয় বন্ধ হয় না !দীর্ঘ সময় পার হল টানেল দখলের পরও ‘’ হামাস’’ ধরা পড়েনি কেন? তাদের ২২৯ জিম্মিই বা কই? তারপরও কেন শিশু-মহিলাদের শরণার্থী ক্যাম্প গুলোতে বম্বিং করা হচ্ছে?
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ৭ই অক্টোবর আন্দোলনের ফল স্বরূপ দখলদার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহরে হামলা চালায়।ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করেছে। হামাসের আন্দোলনের মূল দিক হচ্ছে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করা, স্বাধীনতা, নিয়ন্ত্রণ হীন দেশ বিদেশ চলাফেরা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার। আমাদের পূর্ব পুরুষ যেমন ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে একসময় ।
এক এন জি ও’র তথ্যমতে, ইসরায়েলে অন্যায়ভাবে ৫,২০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩৩ জন মহিলা এবং ১৭০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বন্দী রয়েছে। ইসরাইল যেন মধ্যপ্রাচ্যের তেল ভাণ্ডার ও দাদাগিরি নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা এবং ইউরোপের সামরিক ঘাটি। জাতিসংঘের একটা জরিপ অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন-ইজরাইল যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ফিলিস্তিনি ৫৫৯০ জন এবং ইজরাইলি ২৫১ জন।আহত হয়েছে লাখ লাখ।ফিলিস্তিনের এই আহত ও নিহতের একটা বিশাল অংশ নারী ও শিশু।
নিখোঁজ এবং অপহৃত নাগরিকদের বিষয় সামনে নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের সহানুভূতি নিয়ে, হামাস যোদ্ধাদের নির্মূলের নামে খুনের নেশায় মত্ত আইডিএফ, ইসরাইলী মিলিটারি। একটি অপবাদ দিয়ে দুমাসের বেশীদিন হল প্রতিদিন নিরস্ত্র, নিরূপায়, ক্ষুধার্ত, আশ্রয়হীন শিশু ও মানুষগুলো যেখানেই ছুটছে সেখানেই তাদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি প্যলেসটানীদের “অপেন এয়ার কারাগারের”বা কন্সেনট্রেসন ক্যাম্পের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলেনি আমেরিকার খবরদারীর কারনে। তারা অত্যচারীত হয়ে, পরাধীনতার প্রতিবাদ স্বরূপ আক্রমন ও বিনিময়ের আশায় দুশত ইসরাইলীকে জিম্মি করেছিল। ইসরায়েলের মতে আক্রমণের দ্বারা কমপক্ষে ১,২০০ জন ইসরায়েলীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। সঠিক কতজন নিহত হয়েছে কোন লিষ্ট বা ছবি বা স্পষ্ট তথ্য নেই। সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলীয়দের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে একটি সঙ্গীত উৎসবে হামলা। যার ফলে ২০০ জন নিহত হয়েছিল ও ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা গাজা উপত্যকায় শিশুসহ ইসরায়েলীয় সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের মিলিয়ে ২২৯ জন বন্দী করেছিল। তখন এর সমাধান বিশ্ব কমুনিটির মুরুব্বিগণ ভিন্ন ভাবে করতে পারতেন। নেতানিয়াহুর ইসরাইলের জেলে থাকার কথা ছিল, তার আচরণ চাওয়া পাওয়ার বিশ্ব নেতাদের গোচরে। ইরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ’হামাসদের খুঁজতে গাজার প্রত্যেকটা কর্ণারে তল্লাসি চালানো হবে। তাদেরকে এবার এমন শায়েস্তা করা হবে যা আগে কখনো ঘটেনি। তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে তারা আর কখনোই মাথা তুলে দাড়াতে না পারে।’ তারপর কিভাবে বিশ্ব নেতৃত্ব গাজায় “ লাদেনের মত বুগীম্যনের” উপমা করে হামাসের নামে ২০/২৫ হাজার নিরিহ জনগনকে হত্যার অনুমতি দিল? অবশ্য পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্যালেস্টাইন প্রশ্নে জাস্টিস আশা করা বোকামি কারন দখলদারিত্বের সূচনা তারাই, ইসরাইলকে দিয়ে করিয়েছে এখইন করাচ্ছে, এপারথেড স্টেট তারাই বানিয়েছে। সম্ভবত বিশ্বে মুসলিমদের দুর্বল, পঙ্গু করে রাখার পরিকল্পনায়। টেলিভিশন মিডিয়া দেখে যা মনে হয়, পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে কেবলমাত্র ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এর আগে বলেছিল, হামাসকে সামরিকভাবে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার মধ্যে সীমাবদ্ধ কিন্তু সব সীমা অতিক্রম করেছে, সে ফ্রাঙ্কেনষ্টাইনে পরিণত হয়েছে। খুনের নেশায় মত্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি তাদের দৃঢ় ও অটুট সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। নিজ অঙ্গ রাজ্যের মত তৎক্ষণাৎ আমেরিকা ইসরায়েলের সমর্থনে বিমান বহনকারী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ও মিসাইল ক্রুজার যুদ্ধবিমান ও চারটি মিসাইল বিধ্বংসী যান ইসরায়েলের কাছে ভুমধ্যসাগরে পাঠায় ও আরও অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।যদি সত্যিকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকত তাহলে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ও রণতরী পাঠাতো না। ফিলিস্তিনে মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তি আসলে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। সেখানে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শব্দগুলো আরবদের জন্য ভিন্ন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, দ্ব্যর্থহীনভাবে” ইসরায়েলকে গাজায় জনগণ হত্যার সমর্থন দিয়েছে বাইদেনের সাথে সুর মিলিয়ে ‘’ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে ‘’ বলে। আত্মরক্ষা অধিকার শুধু নয়! ! জিঘাংসা, নীল নকশা ও বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে শরণার্থী শিবির, গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির, হসপিটাল, মসজিদ, গির্জা নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। কানাডা প্রথমে আত্মরক্ষা অধিকারের কথা বললে পরে তাদের স্বরূপ দেখে যুদ্ধ বিরতি আহবার করে।
ইসরায়েলের হামলার পর অপরদিকে ইরাণ, উত্তর কোরিয়া ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জানায় ‘’এই বিপর্যয়ের জন্য ইহুদিবাদী শাসকদের নিজস্ব কর্মকাণ্ড দায়ী, বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অপরাধ আর হত্যার সমুচিত প্রতিক্রিয়া’। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চীন, রাশিয়ানিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে বলে’’ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে’’। মধ্যপ্রাচ্যে এই সহিংসতার পেছনে মার্কিন নীতির ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে মস্কো। মার্কিন নীতিতে ফিলিস্তিনিদের চাওয়া পাওয়ার তোয়াক্কা করা হয়নি তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের স্বার্থকে অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, হামাস ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে সেটির জবাবে ইসরায়েল মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে গাজায়। ইসরায়েলের সমর্থনে আমেরিকা যেভাবে বিমানবাহি রণতরী পাঠিয়েছে সেটি গাজায় ‘গণহত্যা’ উস্কে দেবে।কাতার এবং কুয়েত যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য এককভাবে ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয়কে সংযত এবং নিরীহ মানুষদের ক্ষতি এড়াতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।সবচেয়ে মূল্যবান ও সঠিক কথা বলেছেন “ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এই অঞ্চলে শান্তি আনবে না। জাতিসংঘের ২৪২ এবং ৩৩৮ নম্বর প্রস্তাবনা অনুসরণ করে দখলমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি অবস্থান এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে।’’
‘It is the responsibility of intellectuals to speak the truth and to expose lies’’ Noam Chomsky. কোথায় সত্য? এই সময়ে এসেও এমন স্পরধা শুধুই অসত্য আর অসভ্যদের কারণে। হ্যাঁ সভ্যতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখতে হবে, যুগ যুগ ধরে পাশাপাশি বাস করা নিম্ন আয়ের ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শেষে বেঁচে থাকা দেশগুলো থেকে। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা তথাকথিত উন্নত দেশ থেকে নয়, অন্তত মানবিকতার ছবক নয়। প্রতিবাদ না করে বা মনুষ্যত্ব বিষরজন দিয়ে চুপ থেকে স্বার্থপরের মত কিভাবে মানুষ সভ্য হতে পারে? এই কি সভ্যতার নমুনা? লজ্জিত হই! বৃটিশ শোষন, আমেরিকা ফরাসিদের দখলদারিত্বের নতুন সংস্করণ। গনতন্ত্রের আবরণে সামন্তবাদ।
“If Jesus Were To Be Born Today He’d Be Born Under The Rubble” এই ২০২৩ সালে বেথলহেমে বড়দিন পালিত হচ্ছে না এই স্লোগানে। প্রশ্ন হলো ’ইসরাইলের ভূখন্ড’ নিয়ে! কোনটা ইসরাইলের ভূখন্ড? এই ভূখন্ড তারা পেলো কোথায়? কে, কারা তাদের দিল? এটা তো ফিলিস্তিনেরই ভূখন্ড, তারা দখল করে ছিল, আছে। ফিলিস্তিনে কি মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে কখনও ? করেনি বরং চালাকির ছলে রাজনৈতিক কারণেই সেখানে ধর্মের প্রবেশ ঘটানো হয়েছিল আমেরিকা ও ইউরোপের উপনিবেশিক স্বার্থের কারণে। দু স্টেট সলিউশন নিয়ে আমেরিকার কয়েকজন প্রেসিডেন্ট জোরালো চেষ্টা চালিয়েছিলেন ক’বার। জবর দখল ইসরাইলের মনোভাব কাজেই তারা সল্যুশন করবে কেন? ইউনাইটেড ন্যাশনকে কাজে লাগিয়েছিল প্যালেস্টাইন দুই ভাগ করার সময়। এ দু প্রতিবেশীর সংঘাতের যে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না সেটি বিশ্ব নেতৃত্বের লজ্জা, তাদের অক্ষমতা নীরবতা অপরাধ। উন্নত দেশগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করবেনা কখনও। জাতিসঙ্ঘ অসহায়, রেড ক্রস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং আন্তজাতিক অপরাধ আদালত সবই নিরুপায়, কর্মক্ষম নয়।
অপার সৌন্দর্যে ভরা গ্রহটি ধীরে ধীরে যেন বিলীন হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ কখনো শুভ কিছু বয়ে আনে না, এই যুদ্ধে কয়েক হাজার শিশু ও মহিলাসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বাসস্থান এবং খাদ্য সংকট তৈরী হয়েছে। বিশ্বকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে এই সব অসভ্য রাষ্ট্র প্রধান গুলো। নিজেরা হলোকাস্ট থেকে কি শিখেছে ? বিশ্বের শান্তিকামী কমিউনিটির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানাই ।
রোমেনা হক রুমা,কানাডা।