শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা Logo কোটা সংস্কার আন্দোলন: দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত ৫ Logo বিদ্যালয়ে না এসে বেতনভাতা উত্তোলন; বদলি হলেন বিতর্কিত সে-ই প্রধান শিক্ষক Logo নতুন যুগে চীনের সংস্কারনীতি: মূল উদ্দেশ্য চর্চা করে উদ্ভাবনী উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা Logo চীন সামুদ্রিক পরিবেশের মান অব্যাহতভাবে উন্নত করেছে:শ্বেতপত্র প্রকাশ Logo চীনের উন্নয়ন বিশ্বের জন্য সুযোগ প্রদান অব্যাহত রাখবে:সিএমজি’র সিজিটিএন পরিচালিত জরিপ Logo সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরনের জন্মদিন পালন হলো হাডসন নদীর বুকে Logo চীন বাংলাদেশকে জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করতে ইচ্ছুক:হাসিনার সাথে বৈঠকে সি Logo মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ প্রচার করা:চীনে দশম বিশ্ব সভ্যতা ফোরাম Logo ভারত-চীন সম্পর্কের বৈশ্বিক তাৎপর্যও রয়েছে: বিশেষ বার্তায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘bdpressnews.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘bdpressnews.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘bdpressnews.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ

পশ্চিমাঞ্চল সম্পর্কিত মহা থাং রাজবংশীয় নথিসমূহ চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উন্নত করেছে

ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, / ৯৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩, ৪:১৫ অপরাহ্ন

ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, আন্তর্জাতিক:
হিউয়ান সাং চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সেতু নির্মাণ করেছিলেন। চীনে ফিরে আসার পর তার মৃত্যু পর্যন্ত ১৯ বছরে, তিনি ১৩ মিলিয়নেরও বেশি শব্দের ৭৫টি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করেন। তাঁর অনুবাদ করা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলো ছিল উচ্চ মানের। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের অনুবাদ খুবই কঠিন। সংস্কৃত ক্লাসিক বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলোকে চীনা ভাষায় অনুবাদ করার জন্য শুধুমাত্র বিদেশী ভাষার ওপর দখল থাকলে চলে না, বৌদ্ধধর্মের গভীর উপলব্ধি থাকাও প্রয়োজন।

পাশাপাশি, হিউয়ান সাং কিছু চীনা দার্শনিক রচনাকে প্রাচীন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন এবং ভারতীয় জনগণের সামনে চীনা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন।
হিউয়ান সাং-এর পশ্চিমে যাত্রার সময়, চীন ও ভারত প্রথমবারের মতো কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করে। হিউয়ান সাং ভারতীয় রাজার কাছে থাং রাজবংশের দুর্দান্ত অবস্থার পরিচয় দেন, যা তাকে এর জন্য আকুল করে তুলেছিল। কয়েক বছর পরে, যখন থাং রাজবংশের দূতেরা ভারতে যান, তখন ভারতের রাজা বিভিন্ন ধন ও ভারতের মানচিত্র প্রদান করেন এবং আশা করেন যে, থাং-এর সম্রাট তাকে লাও জি-র ছবি ও ‘তাও তে চিং’-এর বই দেবেন।

থাং থাই জং-এর অনুপ্রেরণা ও আহ্বানে, হিউয়ান সাং ধর্ম সন্ধানের জন্য পশ্চিমে ভ্রমণের সময় যা দেখেছিলেন ও শুনেছিলেন তার উপর ভিত্তি করে “পশ্চিমাঞ্চলসম্পর্কিত মহা থাং রাজবংশীয় নথিসমূহ” লিখেছিলেন। এই বইটি প্রাচীন ভারত ও পশ্চিম অঞ্চলের দেশগুলোর ইতিহাসসম্পর্কিত একটি দুর্দান্ত বিশ্বকোষ। এটি কেবল পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেনি, বরং প্রাচীনকালের পশ্চিম অঞ্চল, ভারত, মধ্য-এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের জন্য এটি অত্যন্ত উচ্চ মূল্যবান নথি।

যদিও প্রাচীন ভারত বিশ্বের “চারটি প্রাচীন সভ্যতার” মধ্যে একটি, প্রাচীন ভারতীয়রা কিন্তু লিখিত ইতিহাস রেখে যায়নি। তাদের ইতিহাসের বেশিরভাগই কিংবদন্তি আকারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছেছে। হিউয়ান সাং-এর “পশ্চিমাঞ্চলসম্পর্কিত মহা থাং রাজবংশীয় নথিসমূহ” সভ্যতার প্রদীপের মতো, প্রাচীন ভারতের হারিয়ে যাওয়া বাস্তব ইতিহাসকে আলোকিত করে। তাই, চীন ভারতের কাছ থেকে চমৎকার মানবসংস্কৃতি শিখেছে এবং পরে ভারতকে তার ইতিহাস পুনর্গঠনে সাহায্য করেছে, যার সবকটিই চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উন্নত করেছে।

বিশ্বের সমস্ত জাতির সংস্কৃতি তাদের নিজস্ব অনন্য ঐতিহ্যে গঠিত এবং সভ্যতার বৈচিত্র্য মানবসমাজের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য নিশ্চয়তা এবং মৌলিক বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে বিশ্বে ৭ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ, ২ শতটিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল, ২ হাজার টিরও বেশি জাতিগোষ্ঠী এবং ৫ হাজার টিরও বেশি ভাষা রয়েছে। বিভিন্ন জাতি এবং সভ্যতা বর্ণময়, প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যাদের মধ্যে ভালো বা মন্দের পার্থক্য নেই এবং তারা মানবজাতির সাধারণ সম্পদ। আমাদের উচিত সভ্যতার বৈচিত্র্যকে সম্মান করা, একে অপরের কাছ থেকে শেখা, বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান ও সংলাপ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান উন্নত করা। আমাদের শুধু নিজেদের সভ্যতাকে উত্তম বলা উচিত নয় এবং অন্য সভ্যতা ও জাতিকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। আমাদের উচিত পরস্পরের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা এবং মানবজাতির অভিন্ন সভ্যতার চিত্র সৃষ্টি করা।

তবে সভ্যতার বৈচিত্র্য ও পার্থক্যও আন্তর্জাতিক যোগাযোগে ভুল বোঝাবুঝির কারণ। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জনের কারণে, বেশিরভাগ বিদেশী যারা কখনও চীনে যাননি, তাদের কাছে চীন “রহস্য” এবং “কর্তৃত্ববাদ”-এর সমার্থক বলে মনে হয়। কিন্তু চীনের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, হাজার বছর ধরে চীন কখনও কোনো দেশ আক্রমণ করেনি। সম্প্রতি চীনের দ্রুত উন্নয়নের কারণে কিছু মানুষ “চীন হুমকি তত্ত্ব” ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে।
চীনের ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাই যে, প্রাচীন বা আধুনিক যাই হোক না কেন, চীনের পুষ্টি ও সমৃদ্ধি অন্যান্য দেশের আগ্রাসন ও শোষণের উপর ভিত্তি করে ছিল না। প্রাচীনকাল থেকেই চীনা জনগণ অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ জাতি। এমনকি, সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ “হান এবং থাং রাজবংশের” সময়েও চীনের গৌরব ছিল এর জনগণের ঐক্য, আত্মনির্ভরশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল।

চীনা সভ্যতার, প্রকৃতির মতো, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রয়েছে; যা সভ্যতার বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয়, বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন মডেল ও সামাজিক ব্যবস্থার বৈচিত্র্যকে সম্মান করে; যা উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমান এবং সুরেলা, অথচ নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হারায় না। চীন সভ্যতার মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষার জন্য “অমিল পাশে রেখে সবাই সম্প্রীতিতে সহাবস্থান” নীতির সমর্থন করে এবং সমর্থন করে যে, বিভিন্ন সভ্যতার উচিত সমতা, সহনশীলতা, সম্মান ও বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে সভ্য বিনিময়ের একটি মডেল স্থাপন করা; অমিলগুলো পাশে রেখে মিল অনুসন্ধান করার সাধারণ ভিত্তি খোঁজা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য গড়ে তোলা।
লেখক: ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST