আন্তর্জাতিক:
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসেন সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, মানুষকে অবশ্যই প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। এ সময় তিনি বর্তমান বিশ্বের পরিবেশ পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের অবদান এবং চীনের প্রথম প্রাকৃতিক সভ্যতা দিবসসহ নানান বিষয়ে কথা বলেন।
এই গ্রীষ্মে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়বৃষ্টি, বন্যা ও দাবানলসহ বিভিন্ন দুর্যোগের মুখে বিশ্ববাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের আতংকিত হওয়া উচিত নয়। সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে। এটি আমি চীনে দেখেছি। চীনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে দুর্যোগ মোকাবিলা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, মানবজাতির সৃষ্ট মিথেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এ নির্গমন কমাতে হবে। আর এর জন্য পুর্নব্যবহারযোগ্য জ্বালানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
চীনে প্রথম জাতীয় সভ্যতা দিবস পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীনের ‘পরিষ্কার পানি ও সবুজ পাহাড় হলো সোনার ও রূপালী পাহাড়’-এ ধারণা খুব চমৎকার। প্রথম জাতীয় প্রাকৃতিক সভ্যতা দিবস পালন করে চীন গোটা দেশবাসীর দৃষ্টি এদিকে আকর্ষণ করেছে। টেকসই জীবন-যাত্রা, যৌথভাবে পৃথিবী রক্ষা, এবং অভিন্ন উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে এটা চীনা অবদান।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উত্থাপিত মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ার প্রস্তাব সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘আমরা সবাই অভিন্ন ভবিষ্যতমুখী। কোনো দেশকে একাকী ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমরা একই পৃথিবীতে বাস করি। তাই যখন দুর্যোগের সম্মুখীন হই, তখন বহুপক্ষবাদ সে দুর্যোগ মোকাবিলার একমাত্র উপায়।’
সাক্ষাৎকারে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকল দেশকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সূত্র: রুবি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।