সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের ১৪তম প্রধান অজয় বঙ্গা বেইজিংয়ে এসেছেন এবং চীনের উন্নয়ন উচ্চ পর্যায় ফোরামে যোগ দিয়েছেন। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) সিজিটিএন তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে অজয় বলেছেন, তিনি দুই-তিন বছর পর পুনরায় চীন সফর করছেন। আগেও তিনি নিয়মিত চীনের উন্নয়ন উচ্চ পর্যায় ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি মনে করেন, ফোরামটি বেসরকারি খাতের জন্য চীন সরকার ও এর নীতির সঙ্গে যোগাযোগ করার একটি পদ্ধতি।
ফোরামটিতে চীনের নতুন উন্নয়নের ধারণা ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।জানা গেছে, চীন ২০২৪ সালের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রায় ৫ শতাংশ। তিনি মনে করেন, চীন তার অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করছে। তাই প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সবুজ শিল্প ও ভোগের প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। যদিও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান এখন ৩০ শতাংশেরও বেশি।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত ‘নতুন মানের উৎপাদন শক্তির’ ধারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি সবুজ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চীন গত ৭ থেকে ১০ বছরে বরাবরই বায়ু, পানি ও মাটির মান উন্নত করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সময়, চীন পরিবেশগত দায়িত্বও পালন করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনে চীনের সুবিধা বেশি। গত ১৫ থেকে ২০ বছরে চীন ব্যাপকভাবে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি উন্নত করেছে। বিশ্বের নতুন নবায়নযোগ্য শক্তির অর্ধেকই চীনের।
জনাব অজয় চীনা অর্থনীতি উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ১.৪ বিলিয়ন মানুষের এ অর্থনৈতিক সত্তা বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর চোখে চীন ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা অনুকরণীয়। গত চার দশকে চীন সাহায্য গ্রহীতা থেকে বৃহত্তম দাতা রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি চীন ও বিশ্বব্যাংকের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা আরও গভীর করতে চান।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।