চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত(শুক্রবার) আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফেরার পথে মালদ্বীপে যাত্রাবিরতি করেন। সে সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ওয়াং ই।
মুইজ্জু ওয়াং ই’র মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতি তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। গত বছর চীন সফরের কথা উল্লেখ করে মুইজ্জু বলেন, মালদ্বীপ ও চীন সর্বদা পরস্পরকে বোঝে এবং আন্তরিকভাবে আচরণ করে। দু’পক্ষ উচ্চ-স্তরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে এবং সহযোগিতায় প্রচুর সুফল অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। চীন মালদ্বীপের বৃহত্তম পর্যটক উৎস রাষ্ট্র হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে মুইজ্জু বলেন, মালদ্বীপ চিরকাল চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে থাকতে চায়। দু’পক্ষের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে সুসংহত করতে, বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা গভীরতর করতে এবং দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাতে আগ্রহী তাঁর দেশ। মালদ্বীপ বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীনের প্রমাণিত নেতৃত্বের প্রশংসা করে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে আগ্রহী।
জনাব ওয়াং ই মুইজ্জুকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের শুভেচ্ছা ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভকামনা জানান। ওয়াং ই মুইজ্জুর চীন সফরকে দু’দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন। দু’দেশের শীর্ষনেতারা চীন-মালদ্বীপ সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কে উন্নীত করতে সম্মত হন। দু’দেশ যৌথভাবে চীন-মালদ্বীপ অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবে এবং দু’দেশের সম্পর্কের বিস্তৃত সম্ভাবনার পরিকল্পনা করবে।
প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ও মালদ্বীপ সরকারের চীনের প্রতি দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি এবং এক-চীন নীতি মেনে চলার প্রশংসা করে চীন। চীন বরাবরের মতো মালদ্বীপকে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং সক্রিয়ভাবে নিজ দেশের অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অন্বেষণে সমর্থন করবে।
সূত্র: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।