নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুই গ্রুপের সংর্ঘষে আহত হয়েছে ১৪ নেতাকর্মী। এসময় দুইপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের নিউজ ফুটেজ সংগ্রহের সময় আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলা রামগঞ্জ প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন ।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৬/৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। উভয়পক্ষের সংর্ঘষে ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বিএনপি সমর্থিত আবদুর রহমান, কবির ভাট, আবদুর রহমান মিলন, শেখ কামরুল, নজরুল ইসলাম পিন্টুসহ ১০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সূত্রে দাবী করেন।
আজ শনিবার দুপুর ৩টায় রামগঞ্জ পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাতারপাড়া চৌরাস্তায় এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপি নেতা ড. মামুন আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন জানান, কেন্দ্র ঘোষিত অংশ হিসাবে রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সাতারপাড়া এলাকা থেকে বাইপাস সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্য নেতাকর্মীরা বের হয়।
কিন্তু অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে সাতারপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থান করে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে। এসময় বাধ্য হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে উভয় দলের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া সুমন জানান, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। যা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোন অবস্থাতেই তা মেনে নিবে না।
এদিকে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে ছাত্রলীগের একাংশ দেরিতে অংশগ্রহণ করায় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা এমরান মানিককে বেধম মারধর করে। পরে ছাত্রলীগের দুইপক্ষ সংর্ঘষ জড়িয়ে পড়লে রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহম্মেদের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৬/৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।