নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গর্ভধারিণী মাকে হত্যার দায়ে ছেলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলো। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদি ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার ভেলবা আক্তার ভাই টিপু সুলতান (৫১)।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, মিলনের দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।
মামলার বাদি মো. টিপু সুলতান (৫১) জানান, ঘাতক ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলন (২৩) তার গর্ভধারিনী মা আমেনা বেগম ওরফে ভেলবা আক্তারকে (৬০) কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে।
রেদওয়ান হোসেন মিলন (২৩) জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র মতে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে বাড়ির লোকজন আমেনা বেগমের বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখে। এসময় বাহির থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনা বেগমের পোড়া মৃতদেহ দেখতে পায়। বাড়ির লোকজনের কাছে সে তার মাকে হত্যার কথা জানায়। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশকে খবর দেয়। রামগঞ্জ থানা পুলিশ ভেলবা বেগমের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
ওইদিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান (৫১) বাদি হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।