নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর (১৫) বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম বুলবুল।
ঐ শিক্ষার্থী দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও একই ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের খামার বাড়ির বাড়ির আবদুল কাইয়ুমের কন্যা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম বুলবুল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিউলি আক্তার এ বাল্য বিয়ে বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এদিকে অপ্রাপ্ত বয়সী শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে পাশ^বর্তী চাটখিল বাজার থেকে বর ও মেহমান পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম বুলবুল জানান, ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আবদুল কাইয়ুম ও আয়েশা আক্তার তার সন্তানদের নিয়ে দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পালের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতো। আত্মীয়তার সূত্রে ঢাকার নারায়নগঞ্জ এলাকার মোঃ রিপনের সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে কল দিয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বললে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। কিছুক্ষণ পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ বন্ধ রাখার জন্য কনের বাবাকে অবহিত করি। এসময় কনের বাবা আবদুল কাইয়ুম ১৮ বছরের আগে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেনা মর্মে অঙ্গীকার করেন। তবে বর ও মেহমান ঢাকা থেকে চাটখিল এসে বাল্য বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে চলে যাওয়ায় তাদের পুরো পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিউলি আক্তার জানান, বাল্য বিয়ে বন্ধ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। মেয়ের বাবা আবদুল কাইয়ুম ১৮ বছরের পূর্বে তার কন্যাকে বিয়ে দিবেনা মর্মে মুছলেকা দিয়ে বিয়ের কাজ বন্ধ রাখেন।