মাহমুদ ফারুক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদক হটলাইন ১০৬ এ ভুক্তভোগী রোগীদের মোবাইল কলের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করে।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের অভ্যন্তরে ও বাহিরের ডায়াগনস্টিকগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিকে দুদকের অভিযান চলাকালে ভিডিও ধারন করতে গেলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল মোহাম্মদ সাইফুল আমিন হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন ও ভিডিওধারনে বাধা প্রদান করে।
দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভিযোগের জানা যায়, রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে দালালের ব্যাপক দৌরাত্ম, ডাক্তারদের ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাইভেট হসপিটাল ও মেডিকেলে রোগী পাঠানো, সরকারি অর্থের অপব্যবহার করে একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যক্ত রাখা, অফিস চলাকালীন সময়ে ডাক্তারগণের প্রাইভেট চেম্বার, সরকারি হাসপাতালের ৫০ গজের মধ্যে অনুমোদনহীন প্রাইভেট ক্লিনিক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন, চাঁদপুর সজেকা থেকে এক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত করে।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের অভিভাবকগণ জানান, দুদকের অভিযান আরো আগে পরিচালিত হলে ভালো হতো। করোনাকালীন সময় থেকে অধ্যাবদি তদন্ত করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়বে। সরকারি হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক। নামে বেনামে কতিপয় ডাক্তারগণ জমি ও বাড়ী কিনেছেন বলেও শুনেছি। আমরা সাধুবাদ জানাই দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ছুটিতে থাকায় অভিযান পরিচালনাকালে দুদক টিম আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে কথা বলে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
সাধারণ জনগণ যাতে তাদের প্রাপ্য সেবা বঞ্চিত না হন এ ব্যাপারে দুদক টিম সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক টিম প্রয়োজনীয় নথিপত্র কমিশন বরাবর প্রেরণ করবে বলে জানান।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ সাইফুল আমিন সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের ভিডিও না করতে হুমকি দেন।