১১তম রেশমপথ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) চীনের শায়ানসি প্রদেশের সি’আনে উদ্বোধন হয়েছে।
এ বারের চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘রেশমপথ বিশ্বকে সংযুক্ত করে, চাংআন নগরটি আলো-ছায়ায় জ্বলে’। চলচ্চিত্র উৎসবে সিল্ক রোড ভিশন, উজবেকিস্তান-সমরকন্দ চলচ্চিত্র সপ্তাহ, ৪কে’র সাহায্যে ক্ল্যাসিক সিনেমাগুলো পুনঃপ্রচারসহ নানা বৈশিষ্ট্যযুক্ত কার্যক্রম রয়েছে এবং অনলাইনে আর অফলাইনে প্রায় ৩০০টি দেশি ও বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
বাংলাদেশের পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরীর চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’ সিল্ক রোড ভিশন ইউনিটে একমাত্র বাংলাদেশী চলচ্চিত্র হিসেবে ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ান্দা প্লাজা সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে।
চীনা দর্শকরা প্রথম বারের মতো সি’আনের সিনেমা হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উপভোগ করেন। সিনেমাটির প্লটদের গভীরভাবে আকৃষ্ট করে।
দর্শক মাদাম ইয়ান বলেন, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, এ সিনেমাটি ভারতীয় সিনেমা। কারণ তাদের ভাষা, পোশাক আর জীবনযাপনের অভ্যাসের অনেক মিল আছে। আমি মনে করি, রেশমপথ চলচ্চিত্র উৎসব খুব ভালো। আমাদের ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছে।“
দর্শক মি. ফেং ছুয়াং ফেই তার ছোট ছেলের সঙ্গে সিনেমাটি দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘রেশমপথের মাধ্যমে চীনের পণ্য বিদেশে যায়, বিদেশী পণ্য চীনে আসে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই হয়। আমরা এর মাধ্যমে পরস্পরের কাছ থেকে শিখতে পারি। কারণ চীনা চলচ্চিত্রে চীনাদের চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়। বিদেশির চিন্তাভাবনার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। আমাদের অন্যদের কাছ থেকেও শেখা উচিত।
এ বছরের ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড পুরস্কার’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৩৬টি দেশ এবং অঞ্চল থেকে ২ হাজার ৬৫টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহণ করেছে, যা নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর সেরা দশ গোল্ডেন সিল্ক রোড পুরস্কার’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ১১তম সিল্ক রোড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামবে।
সূত্র:আনন্দী-হাশিম,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।