রেশমপথ আন্তর্জাতিক মেলা ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের শায়ানসি প্রদেশের সি’আনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তঃসংযোগ গভীরতর এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা’। পাকিস্তান ছিল মেলার প্রধান অতিথি রাষ্ট্র। চীনের লিয়াওনিং আর শানতোং এ বারের প্রধান অতিথি প্রদেশ।
গত (মঙ্গলবার) আয়োজিত অষ্টম রেশমপথ আন্তর্জাতিক মেলা আর চীনের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সহযোগিতা, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলনের ফলাফল সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে জানা গেছে, এ বারের মেলায় কিরগিজস্তান, তানজানিয়া, কাজাখস্তান, জর্জিয়া, স্লোভাকিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং রাশিয়াসহ ৫০টি দেশ এবং অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। চীনের ৬২টি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ জাতীয় সংস্থা, মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কেন্দ্রীয় উদ্যোগ এবং ২৪টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আর মহানগর প্রদর্শনী এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
গতকাল ভোর পর্যন্ত এ বারের মেলায় অফলাইনের দর্শকের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। অনলাইন রেশমপথ মেলার ওয়েবসাইটে ক্লিকের সংখ্যা ৮০ লাখের বেশি হয়েছে। অনলাইন রেশমপথ মেলায় নিবন্ধিত প্রদর্শকের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯। প্রদর্শক, প্রদর্শিত পণ্যের ধরণ আর পেশাদার দর্শনার্থীর সংখ্যা সব ক্ষেত্রেই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
এবারের মেলা আন্তর্জাতিক, আন্তঃপ্রাদেশিক আর শায়ানসি প্রদেশের শ্রেষ্ঠ শিল্প সরবরাহ চেইন স্থাপনের জন্য একটি সহযোগিতা ও বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছে। এতে আন্তর্জাতিক বিনিময়, আন্তঃপ্রাদেশিক সহযোগিতা, পরিবহন ও লজিস্টিক, উন্নত উৎপাদন শিল্প এবং আধুনিক জ্বালানিসহ মোট পাঁচটি প্রদর্শনী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রদর্শনীর আয়তন ৭২ হাজার বর্গমিটার।
ইয়াও লু উন্নত উৎপাদন শিল্প প্রদর্শনীতে শায়ানসি কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি ইয়াও লু সিএমজিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “প্রতিবছর রেশমপথ মেলা উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান করা যায় এবং তথ্য বিনিময় অত্যন্ত মসৃণ। আমাদের জানার বিষয় অন্য কোম্পানিকে দেয়া যায়। ঠিক তেমনি তাদের তথ্যও আমাদের প্রয়োজন হয়।”
রেশমপথ মেলা এর আগে সাত বার আয়োজিত হয়েছে। বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে ১০ হাজারেরও বেশি বিদেশি ব্যবসায়ী মেলা আর সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের ধরন ৩০ হাজারেরও বেশি, দর্শকের সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। এর আগের সাতটি মেলায় স্বাক্ষরিত বিদেশী পুঁজি বিনিয়োজিত প্রকল্পের চুক্তির মোট মূল্য ৫৪৪২.১ কোটি মার্কিন ডলার।
সূত্র: আনন্দী-হাশিম, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।