মাহমুদ ফারুক:
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ ও অন্যান্য কারণে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি ছুড়েছে।
আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদরের চকবাজার, বাগবাড়ি ও উত্তর ত্রিমোহিনী এলাকায় একত্র হয়ে আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জেলার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অবস্থান করছিলো। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অরূপ পাল চারজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত চারজন হলেন আফনান, কাউসার, সাব্বির আহমেদ ও মিরাজ হোসেন। সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
তাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা সদর হাসপাতাল, বেসরকারি নোভা হাসপাতাল, আধুনিক হাসপাতাল ও কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের মিছিলে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগে বিকাল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপুর বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে বাসভবনে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তারা। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহামুদুন্নবী সোহেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রকি ও ছাত্রলীগ নেতা রকির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা।