মোঃ পারভেজ হোসাইন:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীরামপুর মোঙ্গলা বাড়ী থেকে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার হয়নি গত ১৫/১৬ বছরেও। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় কাঁদাপানির সাথে যুদ্ধ করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ সহস্রাধিক গ্রামবাসী রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা শহরে কোন কাজে আসতে হলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও কোন সুফল পাননি এ এলাকার লোকজন।
স্থানীয় লোকজন জানান, তাৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে রামগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ওই সড়কটি নির্মাণ হলেও আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের সড়কটিতে এক টুকরি মাটি ফেলা হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ওই সড়কটি দিয়ে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নূরানী মাদ্রাসা, মসজিদসহ আশপাশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি।
সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এ পথ ধরে চলাচল করতে তাদেরকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও অসুস্থ শিশু ও বয়স্কদের ক্লিনিক-হাসপাতালে আনা নেয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার জানায়, বৃষ্টি হলে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হয়। মাটির রাস্তা হওয়ায় কাদাপানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্র্থী আরাফাত হোসেন জানান, রাস্তায় সবসময় কাদা থাকে। জুতা হাতে নিয়ে আর প্যান্ট গুটিয়ে চলতে হয়। বৃষ্টি হলে সেদিন আর স্কুলে যেতে পারি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয় একাধিকবার আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে বলেছি। চেয়ারম্যান এসে দেখে গেছেন। তবে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছেন আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সড়কটি সংস্কারে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন খান বলেন, রাস্তাটি অনেক পুরাতন। মানুষের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। আমি এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে সংস্কার হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা সাজ্জাদ মামুন খান বলেন, ওই স্থানে গিয়ে আমরা সড়কটি পরিদর্শন করে আসবো। উপজেলাব্যাপী সড়কগুলো সংস্কার করা এখন সময়ের দাবী। পর্যায়ক্রমে সবগুলো সড়ক সংস্কার করা হবে। এছাড়া কিছু সড়ক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত এই সড়কটিসহ বাকি সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।