দ্বাদশ গ্লোবাল ভিডিও মিডিয়া ফোরাম ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব চীনের ফুচিয়েন প্রদেশের ছুয়ানচৌ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলের ৮৭টি মিডিয়া সংস্থার প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি সাংস্কৃতিক বিনিময়ে ভিডিও মিডিয়ার ভূমিকা এবং ভিডিও মিডিয়া উৎপাদনে এআই’র প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে জড়ো হয়েছিলেন।
ফোরামের আলোচ্যসূচির বিষয়গলোর মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য হ্রাস, কৃষি আধুনিকীকরণ, সবুজ উদ্যোগ এবং স্থায়িত্ব ইত্যাদি।
ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতে মিডিয়া সহযোগিতার একটি যৌথ উদ্যোগও চালু করা হয়।
সিপিসি’ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিভাগের উপমন্ত্রী ও চায়না মিডিয়া গ্রুপ বা সিএমজি’র মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং তার ভাষণে বলেন, মানুষে মানুষে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি সেতু এবং সংযোগ হিসেবে, মিডিয়া শুধুমাত্র সময়ের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করে না, বরং বিভিন্ন দেশের মানুষে মানুষএ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গল্পগুলো রেকর্ড ও ব্যাখ্যা করে। সিএমজি বিনিময়, সহযোগিতা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্ব-মানের নতুন মূলধারার মিডিয়ার প্রযুক্তিগত ও যোগাযোগের সুবিধাগুলোকে কাজে লাগাতে ইচ্ছুক। নতুন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে, মানব সভ্যতার পারস্পরিক শিক্ষাকে বেগবান করা এবং সৌন্দর্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য মানুষের সঙ্গে মানুষের এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে সিএমজি। তাছাড়া, মিডিয়া সহযোগিতার একটি নতুন প্যাটার্ন উন্মুক্ত করবে এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর উত্থানকে উন্নীত করবে।
কিরকিজস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুমার্ট ওটরবায়েভ বলেন, চীন নতুন মানের উৎপাদন শক্তির নেতৃত্বে উচ্চ-মানের উন্নয়ন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা এবং ভিডিও মিডিয়ার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণে অভাবিত সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সিএমজি একটি আন্তর্জাতিক মূলধারার মিডিয়া হিসেবে, আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচারে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করা যায় যে, এই ফোরামটি সমস্ত দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াবে এবং যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজের নির্মাণকে প্রচার করবে।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।