নাকাড়া বাজাও! জাগো হে মরমী মন!
গাজার আকাশে উড়তে পারেনা পাখি,
সে আকাশ আজ জংগি দিয়েছে ঢাকি।
সেথার পবনে পাশবিক চিৎকার,
মানবতা তোকে মানবিক ধিক্কার!
পাখিরা ওড়েনা নেই কোন শুভ ডাক,
পৃথীরি ব্যাপিয়া মুহূমুহূ হাঁকডাক।
শকুনেরা ওড়ে ওড়েনাকো গাংচিল,
শ্বাপদের পায়ে মানবতা ঝিলমিল!
উড়ছে শকুন জংগীবিমানরূপে,
মানবাধিকার কাঁদছে যে চুপে চুপে।
কানা দানবের নি:শ্বাসে জন্জাল,
এই বুঝি এলো একচোখা দজ্জাল!
দজ্জাল আসে মানবতা ভাসে আজ,
রক্তগংগা সৃজনে যে পিশাচ!
পৃথিবী ব্যাপিয়া মিথ্যার জাল বোনে,
লাখ মানুষের শান্তির ঘর কোনে,
অশুভ বাতাস ছড়ায় অগ্নিশিখা,
মানবতা-ভালে এ কোন অশুভ রেখা?
এঁকে দিয়ে চলে পৃথিবীর মহাজন,
জনপদে আজ কোন বিভিষিকা রণ!
চৌদিকে শুধু রণভেরী বাজে আজ,
কথার মিছিলে শিল্পিত কারুকাজ।
মিথ্যা বেসাতে বেসামাল সভ্যতা,
ক্রন্দনরত নিপীড়িত মানবতা।
দূষিত বাতাস বয় চারিদিক্ হতে,
জাগো মানবতা সত্য সাধনা ব্রতে!
নাকাড়া বাজাও প্রতীতী জাগাও মনে,
যেন আগামীতে কোন এক শুভক্ষণে,
বয়ে যায় হেথা সুমধুর সমীরণ!
নাকাড়া বাজাও! জাগো হে মরমী মন!