নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়াকে তুলে নিয়ে মারধরসহ মুক্তিপন নেওয়ার ঘটনা দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে স¤্রাট মাহমুদ (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধায় বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে স¤্রাটসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই স¤্রাটকে থানায় তলব করে পুলিশ। পরে মামলার প্রেক্ষিতে তাকে প্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত স¤্রাট উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সৈকত মাহমুদ শামছুর ছোট ভাই এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
অভিযুক্ত অপরজন মো. আরমান হানুবাইশ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তারা দুইজন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী বাচ্চু ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ও পেশায় অটোচালক।
এজাহার সূত্র জানায়, সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে খালি অটোরিকশা নিয়ে বাচ্চু মিয়া রামগঞ্জ থেকে নন্দনপুর হয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রামগঞ্জ-দল্টা বাজার সড়কের ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেলযোগে এসে তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। পরে তাকে তারা টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। পরে তারা মোবাইলফোনে অজ্ঞাতনামাদের ডেকে আনে। পরে তারা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। বাঁচার জন্য আকুতি করলে অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর অব্যাহত রাখে তারা।
একপর্যায়ে বাধ্য করে টাকা আনার জন্য তাকে দিয়ে তার বোন ও ভাইকে কল করায়। এতে তার ভাই সুমম হোসেন তাকে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই টাকা অভিযুক্তরা অন্য নাম্বারে নিয়ে যায়। ঘটনাটি অন্য কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। পরে অটোরিকশার চাবি দিয়ে তারা চলে যায়। সেখান থেকে গিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন তিনি। অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, আমাকে অনেক মেরেছে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি থানায় মামলা করেছি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভূক্তভোগী থানায় মামলা করেছে। ওই মামলায় স¤্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।