সাজিদ রাজু:
বাংলাদেশের অসীম উন্নয়ন সম্ভাবনা এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে বিনিয়োগকারী চীনা রাষ্টীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান শানতোং হাইস্পিড গ্রুপের পরিচালক লি কুয়াংচিন। সিএমজি বাংলাকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সম্মুখীন হওয়া নানামুখী চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অসীম উন্নয়ন সম্ভাবনা এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে বিনিয়োগকারী চীনা রাষ্টীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান শানতোং হাইস্পিড গ্রুপের পরিচালক লি কুয়াংচিন। সিএমজি বাংলাকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন শেষে তিনি সিএমজি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তিনি। লি কুয়াংচিন বলেন, শানতোং হাইস্পিড গ্রুপ অবকাঠামো নির্মাণ খাতের বিনিয়োগকারী বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের শীর্ষ ৫শ’ কোম্পানির তালিকায় এটি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনে ৮ হাজার ৩শ’ কিলোমিটারের বেশি হাইওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আছে শানতোং হাইস্পিড গ্রুপের। তিনি জানান, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া-প্যাসিফিক এবং আফ্রিকাসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশ ও অঞ্চলে কোম্পানিটি বিনিয়োগ করেছে ও ব্যবসা পরিচালনা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছেন তারা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানীবাসীর চলাচল ও কর্মতৎপরতা বাড়বে বলে তাদের বিশ্বাস। শানতোং হাইস্পিড গ্রুপের পরিচালক লি কুয়াংচিন বলেন,
“বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের গভীরতা এবং এই দেশটির উন্নয়নের যে অসীম সম্ভাবনা সেটাই আমাদেরকে এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে সহায়ক হবে, নাগরিকদের অতিরিক্ত ভ্রমণ মাধ্যম বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে, নাগরিকদের চলাচল ও তৎপরতা বাড়াবে এবং সামগ্রিকভাবে জীবনযাত্রার মান বাড়াবে। এটি আরও বেশি বাংলাদেশীকে প্রকল্প থেকে সরাসরি সুবিধা নিতে সহযোগিতা করবে।“
এই প্রকল্পটি রাজধানী ঢাকার শহরাঞ্চল, ব্যস্ত মার্কেট, রেলস্টেশন ও আবাসিক এলাকাকে স্পর্শ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাড়ি এখানে চলাচল করবে। তিনি জানান, ব্যস্ত রাস্তা, ওভারপাস ও রেলওয়ে লাইন থাকায় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা ছিলো চ্যালেঞ্জিং।
শানতোং হাইস্পিড গ্রুপের পরিচালক লি কুয়াংচিন আরো বলেন, “প্রকল্পের রুটের সঙ্গে ৬ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার রেলওয়ে লাইন চলে গেছে। এর ফলে নিরাপদে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ও কারিগরী বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়েছি। বিশেষ করে সরানো যায় এমন গ্যান্ট্রি ক্রেন ব্যবহার করেছি এবং সফলতার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে গবেষণার ফলাফলগুলো অনুবাদ করে তা বাস্তবক্ষেত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।“
এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য এটি নতুন উপহার। প্রধানমন্ত্রী বলেন এই প্রকল্প যোগাযোগ খাতের নতুন মাইলফলক এবং ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানজট নিরসনে ভুমিকা রাখবে৷ শেখ হাসিনা বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ফলে মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না। এই প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।