মামুন চৌধুরী:
নোয়াখালীর চাটখিলে আলোচিত শিশু ফিহা আক্তার হ’ত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আসামি সেন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ফিহা আক্তার (৮) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে চাটখিল থানা পুলিশ নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, উপজেলার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির আব্দুস সাত্তারের পুত্র মিজানুর রহমান সেন্টু (৩০)।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গত ১৫ দিন আগেে গ্রেপ্তারকৃত সেন্টুর মেয়ে তানহার সাথে খেলাধুলা করার সময় ঝগড়া হয় নিহত ফিহার। এ ঝগড়ার জের ধরে সেন্টু ফিহাকে তার বাড়িতে মারতে যায়। তখন ফিহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত করে। এরপর গত রোববার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশের খেতে বাবাকে খোঁজ করতে যায় ফিহা। ওই সময় খেতের পাশে বসা ছিল ঘাতক সেন্টু। পরবর্তীতে তার বাবা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফিহাকে ডেকে নেয় সেন্টু। একপর্যায়ে সে ফিহাকে নির্মম ভাবে হত্যাকে করে মরদেহ তার বাড়ি থেকে দূরে ফেলে দিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ফিহার বাবা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।