এপেকের ৩০তম আনানুষ্ঠানিক সম্মেলন ১৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কোয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ বছরে এপেকের ২১টি সদস্য দেশ যৌথভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। এ অঞ্চলে ভবিষ্যতের সোনালি ৩০ বছর সৃষ্টি-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় সি চিন পিং কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, মূলত উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতায় অবিচল থাকা এবং যৌথভাবে উন্নয়ন সাধন করার মাধ্যমে সোনালি ৩০ বছর গঠন করা যায়।
৩০ বছর আগে স্নায়ুযুদ্ধের সময় এপেক সঠিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। এপেকের উন্মুক্তকরণ খাতে উন্নয়ন করা উচিত এবং অবাধ আঞ্চলিক, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ বেগবান করা উচিত। গত ৩০ বছরে এ অঞ্চল দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। মানুষের গড় আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। বাণিজ্যের পরিমাণ বিশ্বের অর্ধেক ছাড়িয়েছে। গড় শুল্কের পরিমাণ ১৭ থেকে ৫ শতাংশে নেমেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ৭০ শতাংশ অবদান রেখেছে। এ অঞ্চল বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে।
এবারের সান ফ্রান্সিসকো ঘোষণায় বলা হয়, গত ৩০ বছরে বিভিন্ন পক্ষ এপেকের সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী এ অঞ্চলকে বিশ্ব প্রবৃদ্ধির অগ্রদূত বানিয়েছে। এ সাংগঠনিক নীতি হলো ভিন্নতাকে সম্মান করা এবং অভিন্নতা আবিস্কার করা এবং উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার সহযোগিতামূলক চেতনা। যাই হোক না কেন, পরিস্থিতির পরিবর্তন ও উন্নয়নের ওপর বরাবরই গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এপেক নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাস করেন যে, কিভাবে সোনালি ৩০ বছর প্রতিষ্ঠা করা যায়?
এ প্রসঙ্গে তিনি চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। সেসব হলো- সৃজনশীলতার মাধ্যমে এগিয়ে চলা, উন্মুক্তকরণের নির্দেশনায় অবিচল থাকা, সুবজায়নে অটল থাকা এবং যৌথ কল্যাণ অর্জনে অবিচল থাকা।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বেশ কিছু চেতনা ও উদ্যোগ ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মতৈক্যে পরিণত হয়েছে। এবারের সান ফ্রান্সিসকো ঘোষণায় তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। ঘোষণায় বলা হয়, “আমরা আবার ঘোষণা করি যে, অবাধ, উন্মুক্ত, সমতাসম্পন্ন, অবৈষম্য, স্বচ্ছ, সহনশীল ও প্রত্যাশাময় বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি বাজারের উন্মুক্তকরণ বজায় রাখবো, সরবরাহ চেইনের বিচ্ছিন্নতা দূর করা হবে এবং অবকাঠামোগত যোগাযোগ, নীতিগত বিনিময় এবং আকর্ষণ বাড়ানো হবে।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।