নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ৩নং চর লরেঞ্জ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার চাল বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ৫ হাজার ১শত নামের জন্য ৫১ টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রতি জনকে ১০ কেজি করা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ থেকে ৮ কেজি চাল দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
চর লরেঞ্জ ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, জামাল মিজানুর রহমান ও সিরাজ ফখরুল জানান, চেয়ারম্যান তার সহযোগী, মেয়ের জামাই নিজস্ব লোকদের মাঝে সরকারি চাল বিতরন করে। দুস্থ্য ও গরীবদের মাঝে বিতরন না করে নিজের লোকদের চাল দেয়ায় সংকট দেখা দেয়।
১৮ এপ্রিল দুপুরে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ৫০/৬০ জন লোক ইউনিয়ন পরিষদের চালের টোকন হাতে নিয়ে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও চাল কম পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হটাৎ চাল বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে অভিহিত করলে চেয়ারম্যান একটি মুদি দোকান থেকে ২/৩ বস্তা চাল কিনে ৬/৭ কেজি করে দায়সারাভাবে চাল বিতরণ করেন। চাল কম দেয়ার প্রতিবাদ করলে অনেকের টোকেন ছিঁড়ে পেলে দেয়।
৪নং ওয়ার্ডের বিবি আমেনা, চমেনা ৯ নং ওয়ার্ড আলেয়া, চান ভানু, জোহরা পিয়ারাসহ কয়েকজনের চালের টোকন চেয়ারম্যান নিজে ছিড়ে পেলেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এছাড়া সাজিয়া, হাজেরা, শাহিনুরসহ অনেকে টোকেন থাকার পরও চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেন।
নুর নবী নামে একজন জানান, চেয়ারম্যানের সহযোগী আবদুর জাহের দুই বস্তা চাল নিয়েছে আর আমরা সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকি চাল পেলাম না।
ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নুরল আমিন মাষ্টার জানান, এমন কথা বলবেন না সবাইকে তো চাল দিলাম।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ৩নং চর লরেঞ্জ ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (তদারকি কর্মকর্তা) মোহাম্মদ মোহসিন জানান, টোকেন দেখে দেখে চাল বিতরণ করা হয়েছে। টোকেন আছে চাল শেষ এটা হতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, চাল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। লোক পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।