আমার একটি ব্যক্তিগত পৃথিবী চাইচা ই একটা তুমি-তুলির নিখুঁত আবেশে অঙ্কিত ব্যক্তিগত আকাশ।এভাবেই তসলিমা হাসান তাঁর কাব্যানুভব ব্যক্ত করেন পাঠকের প্রাণে। প্রত্যেক কবির আকাঙ্খা একটা নতুন পৃথিবীর যা তার নিজস্ব নিয়মে স্বকীয়।
কবি তসলিমা হাসানের কবিতার বইয়ের নাম- ‘তোমার বসন্তের মায়াজালে’ বইটি সম্পর্কে কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউল স্ট্যালিন বলেন, নাম করণের মধ্যে প্রচ্ছন্ন প্রেমকল্প লুকিয় আছে। তসলিমার কবিতায় প্রেমের ফল্গুধারা যেমন আছে তেমন বিরহের বন্যা। জয়ের আনন্দের পাশে সহাবস্থান করছে পরাজয়ের কান্নাধ্বনি। তসলিমা দেখেছেন গাঁ, গঞ্জ, নগর বন্দর, রাজধানী মফস্বল, স্বদেশ বিদেশ, মানুষও বিমানুষ। তাঁর বিক্ষণ, তাঁর অভিজ্ঞতা কবিতাকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য স্বর- যা তাঁর যাচিত পৃথিবী। তিনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি আর যুদ্ধের দামামায় বিচলিত; যুদ্ধ শীর্ষক কবিতায় শুনি তার অভিধ্বনি:
অস্ত্র দিয়ে নয়, নয় এটম বোমা, হাইড্রোজেন বোম, চাপাতি, চাকু, বল্লম; আমি যুদ্ধ করবো কবিতা কলম কাব্য দিয়ে।
কবি বিশ্বাস করেন কাব্যশক্তি অনন্তর জগৎ ও জীবকে অগ্নির অযাচিত দহন থেকে বাঁচাবে। সহজ ও প্রাঞ্জলভাবে তসলিমা হাসান তার কাব্যাঞ্জলি পাঠককে নিবেদন করেছেন।
টরন্টোর প্রবাসী কবি ও লেখিকা তসলিমা হাসান বলেন, প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে থাকে অনাবিল আনন্দ। সাহিত্যের মধ্যে নিজেকে যেদিন আবিষ্কার করলাম সেদিন থেকেই যুক্ত আছি শতব্যস্ততার ভিড়ে।
বিগত দিনে আমার গল্পের বইগুলো পাঠকের মনে কিছুটা হলেও জায়গা করে নিতে পেরেছে। এটাই আমার আনন্দ। কবিতা, গল্প এবং উপন্যাস নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। পাঠকের মূল্যায়ন এবং যেকোনো ইতিবাচক আলোচনা, সমালোচনা দুটোই আমি উপভোগ করি।
গত বইমেলায় আমার একশো প্রেমের কবিতা সংকলন “অপূর্ণ গোধূলি” প্রকাশিত হওয়ার পরে জানতে পারি পাঠকরা আমার শুধু গল্প বা উপন্যাসের ভক্ত নয় বরং কবিতারও দারুণ ভক্ত।
যাঁরা আমার গ্রন্থ সংগ্রহ করে আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ প্রদান করছেন, সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম।
“তোমার বসন্তের মায়াজালে” কাব্যগ্রন্থটিতে আমি প্রেম, ভালোবাসা, হতাশা, ব্যর্থতার গ্লানি, দেশপ্রেম, মানবিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি সব শ্রেণির পাঠকের ভালো লাগবে। কবিতাগুলো পড়ে পাঠকের মন যদি এতটুকু আলোড়িত হতে পারে তবেই বলব আমি সার্থক, আমার পরিশ্রম সার্থক।
পরিশেষে, আমার পাঠকদের প্রতি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এ ছাড়া আমার পরিবারের সব সদস্য বিশেষ করে আমার বোন দুলু আপা, ফরিদা, আমার ভাই আকন আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়েছে লেখালেখিতে। সবাইকে আমার মোবারকবাদ। এ ছাড়াও বইটির প্রকাশক প্রতিবিম্ব প্রকাশের কর্ণধার বাস্তববাদী কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়েরের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা।
প্রকাশক, কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের কবিও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে বলেন, তিনি বহুদিন লেখালেখি করছেন। বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। সবগুলো বইয়ে ছিল নতুন চমক। তিনি চমক দেখাতেই ভালোবাসেন। কখনো কবিতা, কখনো গল্প, উপন্যাস রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত।
তাঁর লেখায় একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। তিনি ছন্দবদ্ধ কবিতা যেমন লেখেন আবার গদ্য কবিতাও লেখেন। তাঁর কবিতায় সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনধারণ, আচার-আচরণ, ভাষা, রোমান্টিকতা ও প্রকৃতির দৃশ্যায়ন দেখা যায়।
কবি তসলিমা হাসান তাঁর কবিতায় আলাদা বৈশিষ্ট্য ও প্রকরণের জন্য পাঠকের মনে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের সেরা কবিদের কাতারে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারবেন অচিরেই। প্রতিটি কবিতা পাঠকের মন আলোড়িত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। শুভকামনা সব পাঠক এবং কবি ও কথাসাহিত্যিক তসলিমা হাসানের জন্য।