মামুন চৌধুরী:
নোয়াখালীর চাটখিলে আওয়ামীলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, আবু রায়হান, আলী হোসেন, আসাদুজ্জামান ও মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়া সংর্ঘষে উভয়পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ১১ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। গত রোববার বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর জনতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনকালে এ ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
ঐ দিন রাতে চাটখিল থানার উপ পরিদর্শখ আল আমিন বাদী হয়ে চাটখিল থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংসদ এর পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরপর প্রায় দেড় শতাধীক কর্মী ও উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশী অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে।
আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহিমের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন হঠাৎ চেয়ারম্যান বাহালুল তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা টিপু সুলতান গতকাল সোমবার দুপুরে জানান, বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্তের প্রকৃত জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।