সম্প্রতি তৃতীয় ‘বেল্ট এন্ড রোড’ (বিআরআই) আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়। এটি শুধুমাত্র বিআরআই’র দশম বার্ষিকী স্মরণের জন্য সবচেয়ে গৌরবময় ইভেন্টই নয়, বরং বিআরআই যৌথ নির্মাণে উচ্চ-মানের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বিআরআই’র যৌথ নির্মাণে যোগদানকারী দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গত সাত বছরে চীনের সঙ্গে বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও প্রযুক্তির খাতে ব্যাপক সহযোগিতা চালিয়েছে।
গত রোববার সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের বিনিয়োগ ও বাংলাদেশে ইপিসি-উৎপাদিত ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা-চালিত চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসএস বিদ্যুৎ প্রথম প্রকল্পের একটি ইউনিট সফলভাবে ১৬৮ ঘণ্টা নির্ভরযোগ্য পরীক্ষামূলক অপারেশন সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত দুটি ইউনিটের ১৬৮ ঘণ্টার ট্রায়াল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিট দুটি সুষ্ঠুভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশে এই প্রকল্পটি হল সবচেয়ে বেশি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ইউনিট এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে এসএস বিদ্যুৎ প্রথম তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বড় আকারের চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেন। প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা ‘সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন’ বাস্তবায়নে সহায়ক।
প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের পর চীন ও বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো উচ্চ মানে নির্মাণকাজ করছে। যা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার ও মহলের উচ্চ প্রশংসা পেয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির নম্বর ২ ইউনিট সুষ্ঠুভাবে ১৬৮ ঘন্টার নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা সম্পন্ন করে। যা চুক্তির নির্দিষ্ট মেয়দের ৭০ দিনের আগেই সম্পন্ন হয়।
ভবিষ্যৎ সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব্যাহতভাবে উদ্ভাবন করতে ও সহযোগিতা চালাতে থাকবে এবং নতুন সুযোগ অন্বেষণ চালিয়ে যাবে। চীন-বাংলাদেশ বিআরআই যৌথভাবে নির্মাণে বাস্তবসম্মত সহযোগিতার উন্নীত করার চেষ্টা করবে কোম্পানিটি। সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।