ইয়াং ওয়েই মিং:
প্যারিসে, স্থানীয় সময় ২২ জুন সন্ধ্যায়, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে লি ছিয়াং বলেন, চীন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র সাথে সবুজ অর্থনীতি, বাণিজ্য, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।
তিনি বলেন, চীনের উন্নয়ন বিশ্বের জন্য ঝুঁকির পরিবর্তে সুযোগ বয়ে এনেছে এবং বৈশ্বিক শিল্পচেইন ও সরবরাহ-চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আশা করা যায়, ইইউ চীনের সাথে সহযোগিতাকে বস্তুনিষ্ঠ ও যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করে যাবে। চীনও দু’পক্ষের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের নির্ভরযোগ্যতা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে কাজ করতে চায়।
লি ছিয়াং আরও বলেন, চীন ও ইইউ-র মধ্যে স্বার্থের কোনো মৌলিক দ্বন্দ্ব নেই। উভয় পক্ষই একে অপরের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হচ্ছে, উভয় পক্ষ বহুপাক্ষিকতার সমর্থক, উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে একমত পোষণ করে। চীন ও ইইউ-র উচিত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
জবাবে চার্লস মিশেল বলেন, ইইউ বরাবরই ‘এক-চীন নীতি’ মেনে এসেছে। যোগাযোগ ও আদান-প্রদান জোরদার করতে, বহু-স্তরীয় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধান করতে, এবং একটি উন্মুক্ত ও বহু-মেরুর বিশ্ব সৃষ্টি করতে, ইইউ চীনের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
তিনি আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন ইইউ তথা গোটা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। চীনের উন্নয়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা ইইউ’র নেই। ইইউ “নতুন স্নায়ুযুদ্ধ” এবং সবধরনের পক্ষপাতিত্বেরও বিরোধিতা করে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।