শুয়েই ফেই ফেই:
সম্প্রতি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডিয়ামের পালাক্রমিক চেয়ারম্যান জেলজকা সিভিজানোভিক চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজি-কে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, এতে তিনি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা – চীন সম্পর্ক এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, চীন ও চীনা জনগণ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বন্ধু। মহান চীনের অর্জিত প্রতিটি সাফল্যের জন্য তিনি অভিনন্দন জানান। তিনি দেখেছেন যে, দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের বিরাট সুযোগ রয়েছে। এতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং চীন সবসময় আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরস্পরকে সমর্থন জানাবে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তাহলে তিনি তাঁর দেশকে চীনের দেওয়া বিভিন্ন সমর্থনের ধন্যবাদ জানাতে চান, ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে তাঁর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করবেন, দু’দেশ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো বেশি অর্থনৈতিক প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা হল ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগে সবার আগে সাড়া দেওয়া অন্যতম ইউরোপীয় দেশ। সিভিজানোভিক বলেন, সহযোগিতার কারণে দু’দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চীনের পুঁজি বিনিয়োগ ও সাহায্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে চালু হয়েছে। তিনি আশা করেন, এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। চীনের পণ্যকেও স্বাগত জানায় তাঁর দেশ। পরিসংখ্যানের দিক থেকে, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং চীনের বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে। ভবিষ্যতে দু’দেশের সহযোগিতার বিরাট সুপ্ত শক্তি রয়েছে। অবশ্য, প্রত্যেকটি দেশ নিজ দেশের রপ্তানি বাড়াতে চায়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বাজারে চীনের পণ্য দেখে তিনি খুব খুশি। পাশাপাশি, চীনে তাঁর দেশ রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টার করছে। যাতে আরো বেশি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পণ্য চীনের বাজারে দেখা যাবে।
সাক্ষাৎকারে সিভিজানোভিক বলেন, চীনের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু শিখতে পারেন। চীনের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ কৌশল শিক্ষণীয়। চীনের অভিজ্ঞতা নিজ দেশের অবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার উন্নয়নে প্রয়োগ করা যায়। এর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ সম্বন্ধে সিভিজানোভিক বলেন, একটি স্থিতিশীল বিশ্ব ছাড়া বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব না। রাজনৈতিক উপলব্ধি ছাড়া উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীল হবে না। তিনি যুদ্ধের ক্ষতিকে খুব ভালোভাবে জানেন। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট কষ্ট সম্বন্ধে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতাও ছিল। অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে, সবাই আরো গভীরভাবে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় উপলব্ধি করতে পারেন।
সাক্ষাৎকারে সিভিজানোভিক বার বার চীনের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন; চীনের সঙ্গে সহযোগিতা তাঁর দেশের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বাস করা যায়, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ এবং চীন-মধ্যপূর্ব ইউরোপীয় দেশের সহযোগিতা কাঠামোয় দু’দেশ হাতে হাত রেখে সামনে গিয়ে যেতে পারবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।