শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo চীন ও ভিয়েতনাম শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে : সি চিন পিং Logo ক্যান্টন মেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম Logo মার্কিন শুল্কসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের দৃঢ়তা Logo চীনের সাথে ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে : ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী Logo চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন স্বার্থে যৌথ কমিউনিস্ট গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে Logo যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমতুল্য শুল্ক’ বাতিল করার তাগিদ : চীনা মুখপাত্র Logo চীন আধিপত্য ও একচেটিয়া আচরণের বিরোধিতা করে Logo চীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে সমর্থন করবে Logo মার্কিনিরা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ও ‘আমেরিকা স্পেশাল’ নীতি অনুসরণ করেন : সিএমজি সম্পাদকীয় Logo বোয়াও এশিয়া ফোরাম বিভিন্ন দেশের জন্য পারস্পরিক শিক্ষার একটি মঞ্চ : লাওসের প্রধানমন্ত্রী
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘bdpressnews.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘bdpressnews.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘bdpressnews.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ

চীন বিশ্বের সাথে উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি করে আসছে

ছাই ইউয়ে মুক্তা: / ১০০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩, ২:২৪ অপরাহ্ন

ছাই ইউয়ে মুক্তা:
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা হলো বহুপক্ষবাদের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। সংস্থাটিতে যোগদানের পর মাত্র ২০ বছরে, চীন বিশ্বের শীর্ষ পণ্যবাণিজ্যের দেশ এবং ১৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। চীন বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

২০০১ সালের আগে চীনা বাজার তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগদানের পর বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানি চীনে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ শুরু করে। বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের বিধিনিষেধ অনেক কমানো হয়েছে। সেজন্য অনেক বিদেশী কোম্পানি তাদের সদর দফতর ও গবেষণাকেন্দ্র চীনে স্থানান্তর করে। বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রবণতাও অব্যাহত আছে।

বিগত ২২ বছর ধরে চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে আসছে। চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ আরও বেড়েছে। সামগ্রিক শুল্ক স্তর সংস্থাটিতে যোগদানের আগের ১৫.৩ থেকে ৭.৫ শতাংশে কমেছে। এটি আগের প্রতিশ্রুতির ১০ শতাংশের চেয়ে অনেক কম এবং অন্যান্য প্রধান নতুন অর্থনৈতিক সত্তার চেয়ে কম।

গত সেপ্টেম্বরে আয়োজিত চীনের আন্তর্জঅতিক পরিষেবা মেলায় অংশগ্রহণকারী পোলিশ পেটেন্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, “আমরা মেলায় সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটা সেরা খবর যা আমি শেয়ার করতে চাই। চুক্তি আমাদের মধ্যে জ্ঞানের দেওয়া-নেওয়া জোরদার করে এবং দু’দেশের জন্য বাজারের ব্যবস্থাপনার সহায়তা করে। সেজন্য আমার মনে হয়, মেলাটি একটি খুবই ভালো সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”

২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের পর থেকে চীনের পরিষেবা বাজার অব্যাহতভাবে উন্মুক্ত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক নোজি ওকোঞ্জো-আইওয়েলা বলেন, “বিশ্বের পরিষেবা বাণিজ্যে চীনের অংশ ২.৪ থেকে বেড়ে ৬.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। চীন হলো বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ পরিষেবা রপ্তানিকারক ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিষেবা আমদানিকারক দেশ। চীন বিশ্বের পরিষেবা সরবরাহকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।”

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের পর চীন অব্যাহতভাবে বাজারের পরিবেশ উন্নত করে আসছে। চীনা বাজার আরও আকর্ষণীয় হয়েছে ও হচ্ছে। বর্তমানে চীনের সাধারণ উৎপাদিত শিল্প সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত হয়েছে। অবাধ বাণিজ্যিক পরীক্ষামূলক অঞ্চলে নেগেটিভ লিস্ট উৎপাদিত শিল্প সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের পর চীনের নিজস্ব উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে এবং বিশ্বের অর্থনীতি বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হয়েছে। ২২ বছরে চীনের পণ্যবাণিজ্যের পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে। চীনের সাথে সংস্থাটির সম্পর্কে ঐতিহাসিক পরিবর্তন এসেছে। চীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিয়মের প্যাসিভ প্রাপক থেকে সক্রিয় গ্রহণকারীতে পরিণত হয়েছে।

চলতি বছর বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গতি দুর্বল। তবে, চীনের অর্থনীতি অব্যাহতভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মহাব্যবস্থাপক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, যদিও বর্তমানে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমাজে চ্যালেঞ্জ অনেক, তবুও চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, “চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার মানে ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান তিন ভাগের এক ভাগ বা এমনকি আরও বেশি হবে। আমাদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চীনের জিডিপিতে প্রতি এক শতাংশ বৃদ্ধি এশীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।”
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST