১৯শে মে ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জঁ-পিয়ের রাফাহা, চীন-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী ও চীন-ফ্রান্স সাংস্কৃতিক পর্যটন বর্ষ উপলক্ষ্যে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সিজিটিএন-কে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক প্রথমত একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। পারস্পরিক সভ্যতাকে সম্মান করা হলো শান্তিপূর্ণ কূটনীতির ভিত্তি। চীন ও ফ্রান্স বৈচিত্র্যকে সম্মান করে এবং বিভিন্ন দেশের অভিন্ন উন্নয়নের পক্ষে। চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, এমনকি সারা বিশ্বে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। চীনা অর্থনীতি চীনা জনগণ ও বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চীন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি। উদ্ভাবনে চীনা জনগণের দক্ষতা ও প্রজ্ঞাও প্রশংসনীয়। বস্তুত, চীন একটি বৃহত্তর উদ্ভাবনশীল দেশ।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্পর্কে তিনি বলেন, সি একজন অভিজ্ঞ নেতা। তিনি চীনের অনেক এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, চীন ও ফ্রান্সের নেতাদের মধ্যে সংলাপ ও বৈঠকের ফলাফলও ছিল সন্তোষজনক। সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানো ও অভিন্ন উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সমস্যা মোকাবিলার প্রস্তাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের নতুন ধারণা ও উদ্যোগ সঠিক। সবাই বিশ্বে শান্তি, ইউরোপে শান্তি, ও আফ্রিকায় শান্তি চায়। বিভিন্ন দেশকে যৌথভাবে বিদ্যমান নানান ধরনের উত্তেজনা হ্রাস করতে হবে।
‘প্যারিস চুক্তি’ সম্পর্কে তিনি বলেন, ফ্রান্স চীনকে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর করায় ধন্যবাদ জানায়। চীন চুক্তিটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। দু’দেশকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আরও ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এবং জি-সেভেন ও ব্রিক্সের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করতে পারে। ইউরোপকে একটি স্বাধীন শক্তি হতে হবে এবং বিশ্ব কাঠামোতে একটি নির্দিষ্ট স্থান করে নিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।