শিশির:
১৬ মে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ‘চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের’ তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর উচ্চ মানের যৌথ নির্মাণের মতৈক্য গড়ে তুলবে এই সম্মেলন।
ওয়াং ওয়েন বিন বলেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কাজাখস্থানে রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। মধ্য এশিয়াতে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রস্তাব প্রথমবার উত্থাপিত হয়, যা আন্ত:যোগাযোগের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
গেল দশ বছরে প্রেসিডেন্ট সি ও মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশের নেতাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এবং দু’পক্ষ একযোগে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রস্তাবের মহান একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে এবং প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য হয়েছে।
১০ বছরে দু’পক্ষের সহযোগিতায় ধারাবাহিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এ থেকে নানা দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। চীন ও কাজাখস্তানের হরগোস আন্তর্জাতিক সীমান্ত সহযোগিতা কেন্দ্র ও লিয়ান ইউন কাং লজিস্টিক সহযোগিতা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে; যা মধ্য এশিয়ার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরে যাবার দরজা খুলে দিয়েছে। চীনা কোম্পানির তৈরি মধ্য এশিয়ার দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেল চালু হয়েছে।
চীন-কিরগিজস্তান-উজবেকিস্তান সড়কপথ এখন আন্তর্জাতিক পরিবহনের মূল রাস্তায় পরিণত হয়। ৮০ শতাংশ চীন-ইউরোপ রেল মধ্য এশিয়া দিয়ে যাতায়াত করেছে এবং ২০২২ সালে চীন ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্যের পরিমাণ ৭০০০ কোটি ডলারের বেশি হয়।
ওয়াং ওয়েন বিন জোর দিয়ে বলেন, আসন্ন চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর উচ্চ মানের যৌথ নির্মাণ এগিয়ে নেবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ সম্মেলনের সুযোগে হাজার বছরের প্রাচীন রেশপপথে নতুন প্রাণশক্তি দেখা যাবে এবং চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে পারবে।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।