রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo বিশ্বের সাথে চীনের সুযোগ ভাগ করা’ বৈশ্বিক সংলাপ Logo লিচিয়াং আধুনিক ফুল শিল্প পার্কে চীনা প্রেসিডেন্ট সি Logo ইথিওপিয়ায় চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা Logo কুইচৌ গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন ত্বরান্বিত করবে : সি চিন পিং Logo চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সফলভাবে “ইফতার মিট অ্যান্ড গেট টুগেদার” উদযাপন Logo ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদন শিল্পের মূল্য সংযোজন ১১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে Logo দুই অধিবেশনে চীনা ভোগ উৎসাহের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন Logo চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণকে আরও গভীর করবে : ফু লিং হুই Logo ভারত-চীন বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করেছে : চীনা মুখপাত্র মাও নিং Logo স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সাথে সাথে অগ্রগতি অর্জন করতে হবে : সি চিন পিং
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘bdpressnews.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘bdpressnews.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘bdpressnews.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ

চীন-মার্কিন সম্পর্ক হল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: হেনরি কিসিঞ্জার

শুয়েই ফেই ফেই : / ১৪৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩, ২:৪৩ অপরাহ্ন

শুয়েই ফেই ফেই :
মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জার সবেমাত্র তাঁর শত বছর বয়সের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁকে চীনের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা চীনের এই পুরানো বন্ধুকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে রাখা অবদানের প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ।
কিসিঞ্জারের কূটনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে ১৯৭১ সালে তাঁর বেইজিং সফর খুব উল্লেখযোগ্য। সে বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন নেতার সঙ্গে তিনি চীনে এসেছিলেন, দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়নকে জোরদার করেছেন। যা এখনো চীন ও যুক্তরাষ্ট্র, তথা সারা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে, চীনের মার্কিন নীতি স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে ভুল বোঝাবুঝির কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করে। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক সঠিক পথ থেকে সরে এসেছে, সারা বিশ্ব এতে অস্থিরতায় পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাইমস’ ম্যাগাজিন সম্প্রতি মূল্যায়ন করে বলেছে যে, ‘বর্তমান বহুমেরুবিশিষ্ট বিশ্বে, কিসিঞ্জারের বাস্তব ভিত্তিক মনোভাব আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। যখন চীন-মার্কিন সম্পর্ক আবার চৌরাস্তায় এসেছে, হোয়াইট হাউসের উচিত তাঁর কূটনৈতিক চেতনা শেখা।
প্রথমত, বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে। বাস্তববাদ মানে দেশের স্বার্থকে মতাদর্শের ওপরে রাখা। সঠিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিবেচনা করা এবং কূটনীতি প্রণয়ন করা।
তবে, আজ অনেক মার্কিন রাজনীতিক অনির্দিষ্ট অনুভূতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে, তথাকথিত ‘মূল্যবোধ কূটনীতি’ চালু করে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছোট চক্র তৈরি করে। কিসিঞ্জার এতে খুব উদ্বিগ্ন।
অবশ্য, মার্কিন রাজনীতিকদের যা সবার আগে শেখা প্রয়োজন, তা হল সঠিকভাবে দেশের স্বার্থ উপলব্ধি করা। দেশের স্বার্থ রক্ষা করা কিন্তু চীনের সঙ্গে শত্রুতা করা নয়।
দ্বিতীয়ত, পেশাদার চেতনায় আরো সরলভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি এগিয়ে নেওয়া। চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, তথা মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি হোক, কিসিঞ্জারের বিভিন্ন কূটনৈতিক আচরণ একজন পেশাদার কূটনীতিকের গুণ প্রদর্শন করেছে, যা হল, রাজনৈতিক পার্টির লড়াই এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ এড়িয়ে কূটনীতি করা। তবে আজকাল যুক্তরাষ্ট্রে, অনেক রাজনীতিক কিন্তু রাজনৈতিক পার্টির দিক থেকে দেশের কূটনীতিকে যন্ত্র হিসেবে দেখে, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন করে, যা একদম ঠিক নয়।
এ ছাড়া, মার্কিন রাজনীতিকের উচিত ইতিহাসের জন্য দায়িত্বশীলভাবে কূটনীতি প্রণয়ন করা। অনেক বিশ্লেষক বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে কিসিঞ্জার বিশ্ব উন্নয়নের প্রেক্ষাপট এবং দেশের মধ্যে সম্পর্ক সঠিকভাবে ধরতে পারেন। চীন-মার্কিন সম্পর্ক হল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। এ বিষয়ে তিনি বার বার বলেছিলেন যে, বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি, আসলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক উপলব্ধির ওপর নির্ভর করে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ঘটে, তা দু’দেশ তথা সারা বিশ্বের জন্য একটি দুর্ঘটনা হবে।

ইতিহাস সবচেয়ে ভালো পাঠ্যপুস্তক, আধা শতাব্দী আগে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। যা বর্তমান চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলায় অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। চীনের উত্থাপিত পারস্পরিক সম্মান, সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং উভয় কল্যাণের নীতি হল নতুন যুগে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নের সঠিক পথ।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST