উপ-প্রধানমন্ত্রী তিং সুয়েশিয়াং বলেছেন, অন্যতম প্রধান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন বিশ্ব গড়তে সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট বা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট কপ-২৮ নামে পরিচিত।
তিং সুয়েশিয়াং দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের বিশেষ প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, আট বছর আগে প্যারিস চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রেসিডেন্ট সি প্রবল রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে কাজ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার একটি নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি চীন সব সময় তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জোরালো প্রচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও সহায়তা করছে চীন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তিনটি প্রস্তাব তুলেন ধরেন।
ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের এ সম্মেলনে সুয়েশিয়াং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের মৌলিক নীতি, লক্ষ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন। কপ-২৮ এর চলমান ২৮তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসী প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে ধারণা পাবে।
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ কপ-২৮ সম্মেলনের শুরুর দিনই জলবায়ু বিপর্যয় তহবিল গঠন করেছেন প্রতিনিধিরা। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য জলবায়ু বিপর্যয় তহবিল গঠন করাকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন তারা। ১৩ দিন ব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।