ফেব্রুয়ারি ২৪: চীনের সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শুক্রবার বেইজিংয়ে জার্মান চ্যান্সেলরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রুডনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াং ই বলেন, চীন ও জার্মানি হল বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের প্রভাবশালী প্রধান দেশ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বৈশ্বিক তাৎপর্য রয়েছে। চলতি বছর চীন ও জার্মানির সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী। বর্তমান পরিস্থিতিতে, চীন-জার্মানি সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও বিকাশ কেবল দুটি দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য সুবিধাই বয়ে আনবে না, বরং বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তার জন্য সহায়ক হবে।
ওয়াং ই উল্লেখ করেন যে, চীন ও জার্মানির মধ্যে বিশাল সহযোগিতার সম্ভাবনার রয়েছে। দুই দেশের উন্নয়ন একে অপরের প্রতি চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে সুযোগ। উভয় পক্ষের উচিত সঠিক বোঝাপড়া মেনে চলা, উন্মুক্ত মনোভাব, যুক্তিবাদী চেতনা এবং বাজারের নীতির সাথে বাস্তবসম্মত সহযোগিতার প্রচার চালানো, দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা এবং বিশ্ব অর্থনীতির অব্যাহত পুনরুদ্ধার প্রচার করা। ‘ঝুঁকি অপসারণের’ নামে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়। চীন ও জার্মানির উচিত আন্তর্জাতিক সমাজের ঐক্য ও সমন্বয় জোরদার করা, বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা উন্নত করা, বিশ্বের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখা।
প্রুডনার বলেন, জার্মানি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক গুরুত্ব দেয়, দু’দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ইতিবাচক মূল্যায়ন করে এবং চীনের উন্নয়নের সাফল্যের স্বীকৃতি দেয় ও প্রশংসা করে। আন্তর্জাতিক সমাজে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে জার্মানি খুশি। জার্মানি আশা করে, চীনের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা জোরদার করবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াবে, যৌথভাবে বিশ্বের সবুজ রূপান্তর জোরদার করবে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন অবদান রাখবে, বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন এগিয়ে নেবে এবং পারস্পরিক লাভ ও উভয়ের জয়ের ফলাফল অর্জন করবে।
উভয় পক্ষ ইউক্রেন সংকট এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মতো অভিন্ন উদ্বেগের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়েও মতবিনিময় করেছে। সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।