নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতাসহ দুইজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পরিতোষ বাডৈ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি মাদারীপুর জেলা ও থানার তরমুণ্ডুরিয়া গ্রামের প্রিয়লাল বাডৈয়ের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় মেসার্স দেলোয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক। এছাড়া তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (সাতারপাড়া-নন্দনপুর) দ্বিতীয় মেয়াদে কাউন্সিলর হিসাবে রয়েছেন।
নোয়াখালী দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসামিদের দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নির্দেশে ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেমের যোগসাজশে ২০০৫ সালের ৩০ জুন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ৯৬টি প্রকল্পের ৩২০ মেট্রিকটন চাল ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন।
পরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও ইউএনও আবুল হাশেম মৃত্যুবরণ করায় আসামি পরিতোষ বাডৈ ও দেলোয়ার হোসেন দেলুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর আলম।
তবে রায়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবী করে মামলায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি অসুস্থ্য হয়ে ঢাকায় আছি। আমার কাছে তথ্য প্রমান রয়েছে এ মামলায় কে কে জড়িত এবং কিভাবে টাকাগুলো কোথায় কিভাবে প্রেরণ করেছি। আমি ব্যবসায়ী হিসাবে ক্রয় বিক্রয় করতেই পারি, এটা তো অপরাধ না। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
পিপি আবুল কাশেম আরও বলেন, গ্রেফতারের দিন থেকে আসামিদের সাজা উভয় ধারায় যুগপৎ কার্যকর হবে। দুর্নীতি দমনে এমন রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।