ছাই ইউয়ে মুক্তা:
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১৯ জুন বেইজিংয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় বৈদেশিক কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই’র সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠককালে ওয়াং ই বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্কের একটি জটিল সন্ধিক্ষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং সফরে এসেছেন। দু’দেশকে সংলাপ বা বিরোধ ও সহযোগিতা বা সংঘাতের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নত করতে এ প্রশ্নে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই জনগণ, ইতিহাস ও বিশ্বের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার মনোভাব নিয়ে, চীন-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঠেকাতে হবে; দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।
ওয়াং ই আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির মূলে রয়েছে চীন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল ধারণা। মার্কিন প্রশাসনের উচিত এ ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা এবং চীনের সাথে বিদ্যমান মতবিরোধ সঠিক উপায়ে মোকাবিলা করা।
ওয়াং ই চীনের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের ঐতিহাসিক প্রবণতা ব্যাখ্যা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত ‘চীনা হুমকি তত্ত্ব’ প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে; চীনের বিরুদ্ধে অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে; চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন-প্রক্রিয়াকে দমন করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাইওয়ান ইস্যুতে আপস করার কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে এবং দায়িত্বশীলতার সাথে বিদ্যমান মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করে অভিন্ন কল্যাণের জন্য সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক।
এ সময় তাঁরা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতেও মত বিনিময় করেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।