নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিহত সজিব হোসেনকে বিএনপির কর্মী বলে দাবী করলেও মানতে রাজি নন জেলা আওয়ামীলীগ।
জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবী নিহত সজিব হোসেন বিএনপির কর্মী ছিলেন না। সে একজন পথচারী। কিন্তু পথচারীর লাশ নিয়ে এখন রাজনীতি করছে বিএনপি। আর সে হত্যার দায় আওয়ামীলীগের চাপানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। বুধবার বিকেল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন তিনি।
এসম তিনি বলেন, মঙ্গলবারের আওয়ামীলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৭০জনকে নেতাকর্মীকে আহত করে। ভাংচুর করা হয় সরকারী ও বহু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৫০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। অথচ এসব হামলা করেও এখন পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। তাদের দলীয় কোন্দলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে মারা যেতে পারে এই পথচারী। কিন্তু পথচারীকে নিজেদের দলীয় কর্মী বলে দাবী করেন তারা। এই ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন তিনি। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিচার চান আওয়ামীলীগের এই নেতা। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহাম্মদ পাটওয়ারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল।