মশিউর আনন্দ:
“শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। শিশুদের জন্য তাদের উপযোগী করে মানবাধিকারের বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এর ফলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী তৈরি হবে। সমাজে ধীরে ধীরে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তাদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন হিজড়া, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্যদের সম্পর্কে অনেক বেশি জানাতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে আমরা সবাই মানুষ এবং সবার সমান অধিকার রয়েছে।” আজ সকাল 11 টায় সিরডাপ মিলনায়তনে জার্মান সংস্থা নেটজ এর আয়োজনে “Educating Conflict Sensitivity and Human Rights in High Schools: Gaps and Way Forward” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন এসব কথা কলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে সব কিছু উন্মুক্ত। জ্ঞানের বিস্তৃতির কোন সীমা নেই। আমাদের শিশুদের বোঝাতে হবে এই ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। এতে সে খারাপ কিছু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান সম্পর্কে জানাতে হবে।
সেমিনারে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে মানবাধিকার সচেতনতার বিষয়টি কিভাবে আছে তা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জনাব সোহরাব উদ্দিন মণ্ডল এবং আফসানা বিনতে আমিন।
প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ এন রাশেদা, অধ্যাপক ড সন্তোষ কুমার ঢালী, প্রধান সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, শিল্পী রানী সাহা, প্রভাষক, শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তপন কুমার দাস, উপপরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান।