বিডি প্রেস অনলাইন:
শিশুটিকে যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখনো তার মায়ের সাথে নাড়ির সংযোগ ছিল। মা মারা গিয়েছিলেন তুরস্কের সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে। কেবল মা নয়, তার বাবা ও অন্য চার ভাই-বোনও ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে।
শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আয়া। আরবি এই নামের অর্থ অলৌকিক। এখনো সে হাসপাতালে রয়েছে।
তার পরিচর্যায় নিয়োজিত শিশু চিকিৎসক হানি মারুফ জানিয়েছেন, উদ্ধারের সময় তার অবস্থা ভালো ছিল না। কয়েক স্থানে আঘাত ছিল, শ্বাসও নিতে পারছিল না। তবে এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।
ধুলাবালিতে থেকে আয়ার উদ্ধারের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এখন মেয়ে শিশুটিকে দত্তক নিতে সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার লোক আবেদন করছে।
এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘তাকে সুন্দর একটি জীবন দিতে তাকে দত্তক নিতে চাই।’
কুয়েতি এক টিভি অ্যাঙ্কর বলেছেন, ‘আমি এই শিশুকে দত্তক নিতে প্রস্তুত।’
হাসপাতালের ম্যানেজার খালিদ আত্তিয়া বলেন, তিনি সারা দুনিয়া থেকে শিশুটিকে দত্তক নেয়ার আবেদন পাচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, এখনই তিনি তাকে দত্তক দেবেন না। তার চাচা-মামা বা অন্য কোনো স্বজন আগে আসুক। তবে আমি আমার সন্তানের মতোই তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাব।
তিনি জানান, তার চার মাসের একটি মেয়ে রয়েছে। এখন তার স্ত্রীই তার মেয়ের পাশাপাশি এই শিশুকেও স্তন দিচ্ছেন।
সূত্র : বিবিসি