আকাশ,বেইজিং:
সিপিসি ও বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মূল-ভাষণ সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের রাজনীতি করা উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন। তারা জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ- বিভিন্ন দেশের পার্টি ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথভাবে আধুনিকায়ন এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্বের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য আন্তরিক ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।
নাইজেরিয়ার ক্ষমতাসীন দল অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আয়োলা ওমিসোরে (Iyiola Omisore) বলেন, ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জনগণকে শীর্ষে রাখার ধারণা উল্লেখ করেছেন। সিপিসি আধুনিকায়ন এগিয়ে নেওয়ার পথে সবসময় গণ-কল্যাণকে শীর্ষস্থানে রেখেছে।
ইতালির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মার্কো রিজো (Marco Rizzo) বলেন, প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ‘জনগণকে শীর্ষস্থানে রাখাকে’ গুরুত্বারোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা নেতৃবৃন্দ বিশ্বের অনেক দেশকে একত্রিত করেছেন। শান্তি, সহনশীলতা ও উন্নয়নের জন্য তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপকে সঠিক বলেন তিনি।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা জানান, ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রথমে ‘বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ’ উত্থাপন করেছেন। নতুন এ উদ্যোগ বিশ্বের অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাধব কুমার নেপাল (Madhav Kumar Nepal) বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৈশ্বিক সভ্যতার উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন। যা ‘এক অঞ্চল, এক পথ’উদ্যোগ, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সব উদ্যোগের লক্ষ্য- মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণ করাও সুন্দর ভবিষ্যত গঠন করা।
ইরানের ইসলামিক ইউনাইটেড পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদোল্লাহ্ বাদামছিয়ান (Asadollah Badamchian) বলেন, চীন গণ-কল্যাণ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। যা নিজ দেশের পাশাপাশি বিশ্বের জন্যও কল্যাণকর।
পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামির বিদেশ বিষয়ক সচিব প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সামাজিক আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায় মানবজাতির উচিত বিভিন্ন দেশের সভ্যতার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও অভিন্ন উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ