নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা কমপ্লেক্সে নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শুভ (১৩) মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শুভর মা রেখা আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই রামগঞ্জ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয় মাদ্রাসা শিক্ষক শাফায়েত হোসেন (৪৫) এবং হাফেজ মো: মোস্তফা কামালকে (৩৮)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩জনকে ।
এর পুর্বে ঘটনার দিন বিকালে মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্স থেকে শাফায়েত হোসেন (৪৫) ও হাফেজ মোঃ মোস্তফা কামাল নামের দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত; গত ১৮ জুন রবিবার সকালে রামগঞ্জ মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা হিফজ্খানা ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শুভ অসুস্থ হওয়ার পর রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মৃত্যুবরন করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হসপিটাল মর্গে প্রেরণ করে।
কামরুল হাসান শুভর পরিবার ও তার মা রেখা আক্তারের দাবী তার ছেলে কামরুল হাসান শুভকে শিক্ষকগণ পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলচে দাগ রয়েছে। আমরা আটকৃকত শিক্ষকদের শাস্তি দাবী করছি।
রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জামান জানান, শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শুভর মৃত্যুর ঘটনায় শাফায়েত হোসেন ও মোস্তফা কামাল নামের দুই শিক্ষককে আটক করি। ঘটনার দিন রবিবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শুভর মা রেখা বেগম আটককৃত দুইজনসহ অজ্ঞাত ৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।