আবু তাহের :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উপজেলার লামচর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক ইমরান হোসেনের নারী গঠিত বিষয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত ৩ টায় লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার রসুলপুর পাটোয়ারী বাড়িতে গেলে আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঘটনায় উপজেলার মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক ফখরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইমরান হোসেন ও আনোয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামচর ইউনিয়নের মজুপুর তনুল্লা পাটোয়ারী বাড়ির মৃত শহীদ আহমেদ এর ছেলে শ্রমীকলীগ নেতা ইমরান হোসেনকে রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রিজভী হোসাইন ও ফারুক সহ স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় শ্রমিকলীগ নেতা ইমরান হোসেন এমন অনৈতিক কর্মকান্ড ভবিষ্যতে করবে না বলে উপস্থিত লোকজনের নিকট ক্ষমা চান। ২৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় “ঐধৎঁহ ঐধৎঁহ” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পরে ওই ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে কিছুক্ষণ পর ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়া হয়।
এই ঘটনায় আনোয়াারা বেগমকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিজভী হোসাইন জানান, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে ইমরান ও আনোয়ারা বেগমকে হাতে নাতে আটক করি। পরে পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এর আগেও শ্রমিকলীগ নেতা ইমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা ইমরান হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ফজরের নামাজের আগে পার্শ্ববতী নোয়া বাড়ির জাকির ড্রাইভারের সাথে দেখা করতে তার বাড়ির সামনে গেলে হটাৎ ছাত্রলীগ নেতা রিজভী, ফারুখসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক রসুলপুর আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে।
এই ব্যাপারে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মোঃ মমিন উল্লা জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ পাঠিয়ে ইমরান ও ওই নারীকে থানা নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় ইউছুফ মেম্বারের জিম্মায় ইমরান ও ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।